বরগুনা সংবাদদাতা : বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের গিলাতলী গ্রামে এক কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে গত ১৩ অক্টোবর বরগুনা থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, থানা পুলিশ এই ধর্ষনের বিচার নিয়ে লুকোচুরি খেলছে । পুলিশ ওই ঘটনার সাথে জড়িত একজন আসামীকে ওই মামলার স্বাক্ষী বানিয়েছেন।

জানাযায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করার পর পাঁচ মাসের অন্তসত্তা অবস্থায় গত ১১ অক্টোবর শনিবার ডাক্তার দেখানোর কথা বলে ফরহাদ সহ ইউনিয়ন দফাদার আ. জব্বার ও আ. মালেক চৌকিদার জোরপূর্বক ওই কিশোরীকে বরগুনায় নিয়ে এসে ডাঃ জেসমিন আক্তারের চেম্বারে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করে।

কিন্ত বচ্চার বয়স বেশী হওয়ায় গর্ভপাত ঘটানো সম্ভব হয়নি। পরে নানা ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করে কিশোরীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ১৩ অক্টোবর বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রবিবার রাতে কিশোরীর বাবা দুলাল মোল্লা বাদী হয়ে বরগুনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ও ৩১৫ দন্ডবিধিতে চার জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে প্রধান আসামী ফরহাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে পরিবারে অভিযোগ জোর পূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর সাথে জরিত আঃ মালেক চৌকিদার পুলিশ মামলায় আসামি না করে সাক্ষী করেছে এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফারুখ মৃধা ও দফাদার নির্যাতিত পরিবার কে ভয় দেখাছে যাতে আঃ মালেক চৌকিদার এ ঘটনায় জড়িত তা কেউ না জানে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফারুখ মৃধা নির্যাতিতা কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে আঃ মালেক চৌকিদার বাদ দিয়ে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দী দিতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছে নির্যাতিতা ও তার মা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফারুক মৃধা জানান , মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রধান ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফাতার করা হয়েছে । অন্য আসামীদের ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে হুমকী ও মালেক মৃধাকে আসামী না করার ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে রাজী হয় নি। তিনি এ বিষয়টি নিয় অফিসার ইন চার্জের সাথে কথা বলতে বলেন।

গুরুতর অসুস্থ ওই কিশোরী জানান, গত ১৩ মার্চ প্রতিবেশী মোঃ ফরহাদ বিশ্বাস তাকে ধর্ষন করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার যৌন সঙ্গমে বাধ্য করে। কিশোরীর মা জানান, তার মেয়ে অন্তসত্বা নিশ্চিত হলে ফরহাদের বাবার কাছে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি মেয়েকে তার ছেলের বউ হিসেবে মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।

অফিসার ইন র্চাজ মো:রিয়াজ হোসেন জানান বরগুনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ও ৩১৫ দন্ডবিধিতে চার জনকে আসামী করে গত ১৩ তারিখ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার প্রধান ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফাতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় যে কেউ জড়িত প্রমান হলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।





(এমসিএইচ/এসসি/নভেম্বর০৯,২০২৪)