বরগুনা প্রতিনিধি :মাত্র দু’মাস আগে চালু হওয়া বরগুনার মেশিন রিডাবেল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে দালাল চক্রের দখলে চলে গেছে।

প্রতিদিন জেলার ৬টি উপজেলার অসংখ্য মানুষ পাসপোর্ট করতে এসে দালালদের খপ্পরে পড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে।

ফলে গ্রামগঞ্জ থেকে আসা মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। লেখাপড়া কম জানার কারণে গ্রামের মানুষ অহরহ এ দালাল চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছেন। অতিরিক্ত অর্থের পাশাপাশি নির্দিষ্ট তারিখে পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভূক্তভোগীদের। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা জানান, তাদের অফিসে দালাল কিংবা কোনো প্রকার ঘুষ নেয়া হয় না। দালালদের অপতৎপরতা রোধে সক্রিয় রয়েছেন তারা।

সরেজমিনে দেখাযায়, নতুন এ অফিসের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে দু’মাসে মোট ৮৮৭ টি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্য থেকে ডেলিভারি হয়েছে ৩৭৮টি এবং বর্তমানে জমা আছে ৫০৯টি। সরকারি বিধি মোতাবেক সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ২২ দিনে ৩ হাজার, এলআর ফান্ড ১শ এবং জরুরি হলে ৬ হাজার, এলআর ফান্ড বাবদ ১শ টাকা জমা দিতে হয়।

কিন্তু দালালের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করে জমা না দিলে অফিস কর্মকর্তারা নানা ছুঁতোয় ভোগান্তিতে ফেলছেন আবেদনকারীকে। এছাড়া আবেদনে ভুল ও অসম্পূর্ণ নানা অজুহাতে ফেরত দেয়া হয় অনেকের আবেদন।

তাই বাধ্য হয়ে দালালদের দারস্থ হতে হয়, পড়তে হয় দালালের খপ্পরে। এজন্য সরকারি ফি ছাড়াও গ্রামগঞ্জ থেকে আসা সাধারণ মানুষকে গুনতে হয় অতিরিক্ত ১৫শ থেকে ২হাজার টাকা। এই বাড়তি টাকার একাংশ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের পকেটে চলে যায়, এখানকার দায়িত্বে থাকা সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবেদন ফরম জমাকারী একজন বলেন, ‘আবেদন ফরমে ফ্লুইড, ওভার রাইটিং অথবা সামান্য ক্রুটিপূর্ণ আবেদন ফেরত দেয়া হয়, আর এ সমস্ত কারণ অথবা ভুলের জন্য কর্মকর্তাকে দেড় থেকে দু’হাজার টাকা ধরিয়ে দেওয়া হলে সে আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়। ঠিক এই প্রক্রিয়ায় ইতোমধ্যে অনেক পাসপোর্ট অফিস থেকে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে।’

এ ব্যাপারে পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক মো.মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমার জানামতে এ অফিসে কোনো দালাল নেই।

টাকা না দিলে আবেদন গ্রহনযোগ্য হয়না এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘যাদের বাড়ি অন্য উপজেলায় তাদের আসা যাওয়ার কথা চিন্তা করে ত্রুটিপূর্ণ আবেদন আমি গ্রহণ করি। অতএব অতিরিক্ত টাকা নেয়ার ঘটনা সত্যি নয়।’






(এমসিএইচ/এসসি/নভেম্বর০৯,২০২৪)