শিতাংশু গুহ


(১) মহান বিজয় দিবসে ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গায় ৩টি স্থানে ৩টি প্রতিমা ভাঙ্গা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে: আলফাডাঙ্গা শ্রী শ্রী বিষ্ণু পাগল আশ্রম; শ্রী শ্রী দামোদর আঁখড়া দূর্গা মন্দির এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী হরি মন্দির (ঘটনা ১৫ই ডিসেম্বর রাতের)। বলা হচ্ছে, মৌলবাদীরা হিন্দুর দেবীমুর্ক্তি ভেঙ্গেই বিজয় দিবস পালন করেছে। সামাজিক মাধ্যমে একজন লিখেছেন, বিজয় দিবসে এটি মেনে নেয়া যায়না। তাহলে অন্যান্য দিন মুর্ক্তি ভাঙ্গলে তা মানা যায়? যায়, কারণ ৭২ থেকেই মুর্ক্তি ভাঙ্গছে, সবাই মেনে নিচ্ছে, দেখার কেউ নেই, কোনকালে এর বিচার হয়নি, হওয়ার সম্ভবনাও নেই!

(২) ১৭ই ডিসেম্বর ছিলো আরজ আলী মাতুব্বর-এর জন্মদিন (১৭ ডিসেম্বর ১৯০০-১৫ই মার্চ ১৯৮৫)। তিনি যেসব সত্য কথা বলেছেন, ভাবছিলাম তিনি জীবিত থাকলে এখন কি বলতে পারতেন? বেগম রোকেয়া জীবিত থাকলে কি তিনি যা বলেছেন তা বলতে পারতেন? বেগম রোকেয়া পরাধীন ভারতে এবং আরজ আলী মাতুব্বর ভারত, পাকিস্তান, এবং কিছুটা বাংলাদেশ আমলে যেসব সত্য ও মূল্যবান কথা বলেছেন, আজকের বাংলাদেশে এসব সত্য উচ্চারিত হয়না কেন? টরোন্টোর আকবর হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী সমাজে আরজ আলী মাতুব্বর একটি নীরব বিদ্রোহ’। একজন জানতে চাইলেন, পাকিস্তান আমলেও যে বাক-স্বাধীনতা ছিলো, এখন তা নেই কেন? এর উত্তর হচ্ছে, ‘আগে মানুষ মিথ্যা বলতো না পাপ হবে বলে, আর এখন সত্য বলেনা বিপদে পরবে বলে..’।

(৩) আমাদের নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠূ নির্বাচন করতে পারুক বা না পারুক, এবার তাঁরা নেতাদের সম্পদের যতটুকু হিসাব দিয়েছেন তাতে এ কথা প্রমাণিত যে, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে’। গরিবের জন্যে দিনরাত পরিশ্রম করতে করতে নেতারা কোটিপতি হয়ে যাচ্ছেন (গরিব গরিবই থাকছেন)। আরো একটি বিষয় প্রমাণিত যে, আমাদের মহিলারাও যথেষ্ট এগিয়ে যাচ্ছেন। কারণ নেতার চাইতে নেতার বউ অনেক বেশি সম্পদশালী।

লেখক : আমেরিকা প্রবাসী।