স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় অনন্ত ৭জন আহত হয়েছে। এসময় কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। এঘটনায় নৌকা প্রতীকের সমর্থক দুই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া ও শৈলকূপার রয়েড়া বাজারে এঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন সদর উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামের লিয়াকত লস্কারের ছেলে আকিজ লস্কার,রোজদার মিয়ার ছেলে আকাশ মিয়া ও মৃত হানেফ বিশ্বাসের ছেলে সেনাসদস্য রজব হোসেন এবং শৈলকূপা রয়েড়া বাজারে গহর বিশ্বাসের সিঙ্গাপুর প্রবাসী খায়রুল বিশ্বাসসহ চারজন। আহতদের মধ্যে রজবের অবস্থার অন্নতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,ঝিনাইদহ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের কর্মীরা গোয়ালপাড়া বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিল। সেসময় নৌকা প্রতীকের সমর্থক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া কাজলের নেতৃত্বে মিরাজ হোসেনসহ একদল ক্যাডার বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় ৩জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে।

অপরদিকে ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকা প্রার্থীর একটি মিছিল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের এক কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। পরে ট্রাক প্রতীকের কর্মীরা একত্রিত হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাব্দার হোসেন মোল্লার গাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় দুই প্রার্থীর কর্মীসমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, নির্বাচনী সহিংসতা রোধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ২জনকে আটক করা হয়েছে। কে কোন প্রথীকের প্রার্থী সেটা আমাদের দেখার সময় নায়। যে ব্যক্তিই সহিংসতায় লিপ্ত হবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

(একে/এএস/ডিসেম্বর ২১, ২০২৩)