তপু ঘোষাল, সাভার : ঢাকা জেলার সাভারে বসরকারি সংস্থা সাস এর উদ্যোগে শিক্ষানবিশি কার্যক্রমের আওতায় মাস্টার ক্রাফটপার্সনদের ওরিয়েন্টেশন সমাপ্ত হলো।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সাভারে সাস প্রধান কার্যালয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ২দিন ব্যাপি শিক্ষানবিশি কার্যক্রমের আওতায় মাস্টার ক্রাফটপার্সনদের ওরিয়েন্টেশন সমাপ্ত হলো। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও বিশ্বব্যাংক এর আর্থিক সহযোগিতায় সোস্যাল আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (সাস) পরিচালিক রেইজ প্রকল্পের উদ্যোগে ২ দিনব্যাপি ২ ব্যাচে মোট ৫০ জন মাস্টার ক্রাফটপার্সনদের ওরিয়েন্টেশন সমাপ্তি হয়েছে।

রেইজ প্রকল্পের আওতায় সাভার, ধামরাই ও কালিয়াকৈর এলাকার ৫০জন উদ্যোক্তাদের নিকট ১০০জন বেকার তরুন ছেলেমেয়ে ৬ মাস ব্যাপি হাতে কলমে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। ৬ মাস ব্যাপি প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে-বিউটিফিকেশন, ফ্যাশন গার্মেন্টস, মোবাইল সার্ভিসিং, এসি-ফ্রিজ মেরামত, ইলিকট্রিক্যাল, ওয়েলডিং, অটো মোবাইল, মটর সাইকেল সার্ভিসিং, সপ ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। শিক্ষানবিশদের প্রশিক্ষণের খরচ ছাড়াও জন প্রতি ২১ হাজার টাকা করে স্কলারশীপ হিসেবে প্রদান করা হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষে চাকুরীর ব্যবস্থা করা হয়।

উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাস এর নির্বাহী পরিচালক হামিদা বেগম, পরিচালক বীব মুক্তিযোদ্ধা কৃষিবিদ ড: রফিকুল ইসলাম মোল্লা এবং সাস এর উপ-পরিচালক ও রেইজ প্রকল্পের ফোকাল পার্সন মঞ্জুর মোর্শেদ। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেইজ প্রকল্পের সমন্বয়কারী বাবুল মোড়ল, লাইফ স্কীল অফিসার পারভীন আক্তার শান্তা এবং কেইচ ম্যানেজমেন্ট অফিসার মিজানুর রহমান।

বাংলাদেশের মোট কর্মসংস্থানের ৮৬.২% অনানুষ্ঠানিক খাতে এবং ৭৮% কুটির ও ক্ষুদ্র উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত যা টেকসই অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কোভিড-১৯-এর কারণে অন্যান্য খাতের মত অনানুষ্ঠানিক খাতেও বিরুপ প্রভাব পড়েছে। এরই প্রেক্ষিতে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) রেইজ প্রকল্পের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত শহর ও উপ-শহরাঞ্চলের ক্ষুদ্র উদ্যোগ পুনরায় সচল করার লক্ষ্যে উদ্যোক্ততাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ঋণ সহায়তা প্রদান, দেশের অনানুষ্ঠানিক খাতে নিযুক্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদেও সক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং নিম্ন-আয়ের পরিবারভুক্ত তরুণদের শিক্ষানবীশ কর্মসূচীর মাধ্যমে চেকসই কর্মসংস্থানে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

উল্লেখ্য, সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী যেমন দলিত, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, চর, হাওড়, পার্বত্য অঞ্চল, চা বাগান ও উপকূলীয় এলাকা এবং প্রতিবন্ধী তরুনদের এই প্রকল্পে অংশগ্রহণে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

(টিজি/এসপি/ডিসেম্বর ২২, ২০২৩)