রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরের বাঁশচড়া ইউনিয়নে সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর ঈগল প্রতীকের প্রচার কেন্দ্র ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও এক সমর্থকের বাড়িতে হামলা করে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২৬ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের কাশারুপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। বাড়িঘরে হামলার শিকার স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওই সমর্থক আলম হোসেন কাশারুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক।

ভুক্তভোগী আলম হোসেনের অভিযোগ, রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওই নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে নির্বাচনী গান বাজছিলো। হটাৎ করে নৌকা প্রতীকের কিছু কর্মীসমর্থক আমাদের সমর্থিত ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্র ভাঙচুর শুরু করেন। পরে কেন্দ্রের একপাশে তারা আগুন লাগিয়ে দেন। এই দৃশ্য আমার ভাতিজী রাখি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে গেলে তার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন তারা। এ সময় বাঁশচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল উপস্থিত ছিলেন। পরে ওই নেতাকর্মীরা আমার বাড়িতে যান। তারা বাড়িতে আমাকে না পেয়ে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে এবং আমার স্ত্রী আয়েশ বেগম ও ছেলেকে লাঞ্ছিত করেন। এতে ভাতিজী রাখি বাধা দিতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা আমার বাড়িতে লুটপাট করে টাকা আর স্বর্ণ অলঙ্কার নিয়ে যান।'

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু অভিযোগ করে জানান, 'তাঁরা (নৌকার লোকজন) একের পর এক আচারণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। রাতে বাঁশচড়ায় জলিল চেয়ারম্যান জনবল দিয়ে এই কাজটি করছেন। শত ভয়ভীতি, জ্বালাও পুড়াও করে সদরবাসীর ভোট দেওয়ার পরিবেশ সেখানে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। এই ভোট, এই নির্বাচন সুনামি আকার ধারণ করবে। তাদের ভোট নাই, পায়ের নিচে মাটি নাই। তারাই এই কাজটি করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

জামালপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহরাব হোসেন বলেন, 'কাশারুপাড়া এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর একটি নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু চেয়ার পড়ে আছে। আলম হোসেন নামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থকের বাড়িতে কিছু জিনিসপত্র অগোছালোভাবে পড়ে রয়েছে। তাদের সাথে কথা হয়েছে। তারা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

(আরআর/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩)