রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুরে নৌকার নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন নৌকার ৪ জন কর্মী ও সমর্থক। আহতদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আহতরা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ঈগল প্রতীকের রেজাউল করিম রেজনুর কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করেছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নৌকা প্রতীকের প্রচার কেন্দ্র ভাঙচুর করার কারও দুঃসাহস নেই।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে ইউনিয়নের দক্ষিণ কৈডোলা হক দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহতরা হলেন, ওই ইউনিয়নের কসিম উদ্দিনের ছেলে ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি সদস্য নিয়ামত আলী (৭০), তাঁর ছেলে যুবলীগ নেতা মো. জাকির হোসেন ওরফে ফকির (৪০), বেলাল হোসেনের ছেলে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক মাসুদ রানা (২৭) ও মারুফ হোসেন (২২)।

আহতরা জানান, বুধবার নৌকার প্রচার মিছিল শেষে হক দাখিল মাদ্রাসা প্রচার কেন্দ্রে যান নৌকার কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থক সাইফুল ইসলাম ১০/১২জন লোক সঙ্গে নিয়ে নৌকার প্রচারকেন্দ্র ভাংচুর চালান। এতে বাধা দিতে গেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান তারা। লাঠি, দা, কুড়ালের এলোপাতাড়ি কোপে আমরা নৌকার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ৪জন আহত হয়েছি।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও শাহবাজপুর ইউনিয়নের সমন্বয়কারী হৃদয় আকন্দ চমক জানান, 'জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় গত কয়েকদিন ধরে আমরা এই ইউনিয়নের ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি। ভোট প্রার্থনা করার সময় আমরা ফোনকলের মাধ্যমে জানতে পারি ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা নৌকার প্রচারকেন্দ্র ভাংচুর করেছে। পরবর্তীতে আমরা আমাদের সাথে থাকা হায়েস নিয়ে গিয়ে দেখি আহতরা মাটিতে পড়ে আছে। তাদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। আহতরা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।'

হামলা প্রসঙ্গে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ এ প্রতিনিধিকে জানান, 'বিষয়টি আমি শুনেছি। যারা এ হামলা করেছে তাদের বিচার হওয়া দরকার। যাদের হুকুমে হামলা করা হয়েছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তিনি।'

এ প্রসঙ্গে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রতিনিধি ইকরামুল হক নবীন জানান, 'নৌকা প্রতীকের প্রচার কেন্দ্র ভাঙচুর করার কারও দুঃসাহস নেই। তারা নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল তৈরি করে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।'

জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, 'শাহবাজপুরের ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

(আরআর/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩)