সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : ভৈরবে শামসু মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ২৭ ডিসেম্বর বুধবার রাত ১১টায় ভৈরব পৌর শহরের রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় আল কাদির নামে একটি আবাসিক হোটেল থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শামসু মিয়া হবিগঞ্জের লাখাই থানার মোড়াইক গ্রামের ফিরোজ মিয়া ছেলে।

ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বুধবার রাত ৯টায় খবর পেয়ে হোটেলে এসে হোটেল কক্ষের দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে দরজা ভেঙ্গে বিছানার ওপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। আমরা তার পরিবারকে খবর দিয়েছি। যতটুকু জানতে পেরেছি শামসু মিয়া হকারি করতেন। কি কারণে মারা গেছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি বিষ পান করেছেন।

আল কাদির হোটেল ম্যানেজার মকবুল মিয়া বলেন, ২২ নভেম্বর শামসু মিয়া হোটেলে থাকতে আসেন। তিনি হকারি করতেন। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বা রাতে ফিরতেন। ২৬ ডিসেম্বর তিনি রাত দশটায় ফিরে রুমে ঢুকেন। পরদিন সন্ধ্যায় রুম ভাড়ার জন্য তাকে ডাকতে গেলে তিনি দরজা খুলেনি। একাধিকবার ডাকাডাকি করার পরেও তিনি দরজা না খোলায় সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে দরজা ভেঙ্গে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের চাচাতো ভাই শিমুল মিয়া জানান, ভৈরব থানা পুলিশের মাধ্যমে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। পারিবারিক ভাবে শামসু মিয়ার কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। কেন আত্মহত্যা করবেন তা বোধগম্য নয়। শামসু মিয়া বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা করতেন। সিজনাল ব্যবসায়ী ছিলেন। তার তিন মেয়ে ও একজন ছেলে সন্তান রয়েছে।

(এসএস/এসপি/ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩)