স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী সহিংসতায় দুইজন আহত হয়েছেন। আহতদের কুপিয়ে মারাত্মক যখম করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামে ও বুধবার রাতে সদর উপজেলার গান্না বাজারে ঈগল প্রতিকের কর্মীদের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের ঈগল প্রতিকের কর্মী পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মোস্তফা মন্ডলের ছেলে হাফিজুর রহমান টুকু ও সদর উপজেলার গান্না ইউনিযনের খালকোলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আলাউদ্দীন আলা।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে মাঠে যাচ্ছিলেন হাফিজুর রহমান টুকু। তিনি চারাতালা মোড়ে পৌঁছালে নৌকার স্থানীয় এজেন্ট ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শরাফুদ্দৌলা ঝন্টুর নির্দেশে আব্দুর রহিমের ছেলে দুলাল মোটরসাইকেলযোগে দলবল নিয়ে এসে হাতুড়ি, লোহার পাইপ ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন টুকু অভিযোগ করে বলেন, নৌকার সমর্থক দুলাল তাকে হত্যার জন্য বেশ কয়েকটি কোপ মাথা লক্ষ্য করে মারে। আর এই চক্রান্তের সঙ্গে পুরোপুরি ঝন্টু চেয়ারম্যান জড়িত। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকৎসক আশরাফুজ্জামান সজিব জানান, টুকুর দুই পায়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকামুক্ত হলেও পঙ্গুত্ব বরণের ঝুঁকি রয়েছে।

এদিকে গতরাতে গান্না বাজারে মন্টু মাস্টার মার্কেটে আলা উদ্দিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মা টেলিকমে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় নৌকার সমর্থকরা দোকানের কম্পিউটার ভাংচুর, বিকাশের টাকা লুটসহ দোকানের মধ্যে লুটপাট চালিয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসসাধীন আহত আলাউদ্দিন জানান, তিনি নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন।

এ সময় গান্না ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিথা, তার ছেলে সাগর হোসেন, কাশিমপুর গ্রামের বাচ্চু জোয়ার্দারের ছেলে শামাউল, দুর্গাপুরের মৃত ছামুর ছেলে লিটন, পোড়াবেতাই গ্রামের মহসিনের ছেলে জাহাঙ্গীর, আইনুদ্দিনের ছেলে তারেক, কোটচাঁদপুর উপজেলার তালিনা গ্রামের মৃত বাবুর ছেলে রুবেল, চান্দেরপোল গ্রামের ইদবারের ছেলে শান্তি,মাধবপুর গ্রামের মোস্তফা, পোড়াবেতাই গ্রামের মোতালেবের ছেলে নাসির ও তোতা তার উপর দেশীয় অস্ত্র, বাশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে হামলা চালায়। তিনি ঈগলের ভোট করার কারণে তার উপর এই হামলা বলে আলাউদ্দীন অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, পৃথক দুটি সহিসংতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪জনকে আটক করা হয়েছে। যারাই সহিংসতায় লিপ্ত হবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

(একে/এসপি/ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩)