নিউজ ডেস্ক : গত ২৫ বছরের তুলনায় ইদানীং স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। বর্তমানে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সব চাইতে বেশি। অন্যান্য অনেক ক্যান্সারের তুলনায় স্তন ক্যান্সারে প্রতিদিন আক্রান্ত হন অনেক নারী। ইদানীং এই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে পুরুষদেরও। জরিপে দেখা যায় প্রতি ২৮ জন নারীর মধ্যে ১ জনের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

আমাদের নিজেদের সুস্থতার জন্য সতর্ক হতে হবে স্তন ক্যান্সারের সম্পর্কে। রুখে দিতে হবে এই মারাত্মক রোগটিকে। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক স্তন ক্যান্সার থেকে রেহাই পেতে আমাদের করণীয় কজাগুলো।
শারীরিক কাজকর্ম করুন

ক্যান্সার স্পেশালিষ্টদের মতে শারীরিক পরিশ্রম করলে স্তন ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকা যায়। শারীরিক পরিশ্রম দেহের ফ্যাট কোষের সংখ্যা কমায়। ফ্যাটকোষগুলো ওএস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন নামক একপ্রকার হরমোন নিঃসরণ করে। এই ফ্যাট কোষগুলো টিউমার হতে সহায়তা করে। তাই স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে শারীরিক পরিশ্রমের বিকল্প নেই। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের শারীরিক পরিশ্রম স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবন কমায় ২০% পর্যন্ত।
মদ্যপান ত্যাগ করুন

অ্যালকোহল দেহে ক্যান্সারের কোষের জন্ম এবং বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন তাদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই মদ্যপানকে না বলুন। স্তন ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
দেহের কলেস্টোরলের মাত্রা কমান

দেহের খারাপ কোলেস্টোরল স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী। বিশেষ করে নারীরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। কোলেস্টোরলের মাত্রা বেড়ে গেলে দেহে ইনভ্যাভাস ড্যাকটাল কারসিনোমিয়ার উৎপত্তি হয় যা স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী। তাই কোলেস্টোরলের মাত্রা কমানোর চেষ্টা করুন এবং কোলেস্টোরল যুক্ত খাদ্য থেকে দূরে থাকুন।
সূর্যের আলোতে যান

প্রাকৃতিক উপাদান সব সময়েই আমাদের দেহের জন্য ভালো। ব্যতিক্রম নয় সূর্যের আলোও। সকালের সূর্যের আলো আমাদের দেহে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে। এতে করে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। গবেষণায় পাওয়া যায় ভিটামিন ডি স্তনের কোষে এক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধী হরমোনের তৈরি করে যা ক্যান্সারের কোষ গঠন প্রতিরোধ করে। তবে অবশ্যই সকাল ৯ টার পর থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।


(ওএস/এটি/মে ০১, ২০১৪)