রূপক মুখার্জি, লোহাগড়া : দীর্ঘ আইনী লড়াই শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র ৯ দিন আগে নড়াইল-২ আসনে ( নড়াইল সদরের আংশিক ও লোহাগড়া) প্রর্থীতা ফিরে পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো: ইকবাল কবির এবং বিশ্বজিৎ দেবনাথের দ্বৈত আইনানুযায়ী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুকে মনোনয়ন গ্রহণ এবং প্রতিক বরাদ্দের আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার রাতে নিজের প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু নিজেই।

জানা গেছে, নড়াইল-২ আসনে তারকা প্রার্থী মাশরাফি বিন মোর্তজা লড়ছেন নৌকা প্রতিক নিয়ে আর তার মুল প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু। তিনি লড়বেন ট্রাক প্রতিক নিয়ে। প্রতিক পেয়ে লিটু শুক্রবার সকালে নির্বাচনী এলাকা লোহাগড়ায় পৌঁছেছেন। শুক্রবার দুপুর ২ টার পর থেকে নড়াইল ও লোহাগড়ায় ট্রাক মার্কায় ভোট চেয়ে মাইকিং শুরু হয়েছে।

এ দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটুর প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার খবরে নড়াইল-২ আসনের ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।লক্ষ্মীপাশা খেয়াঘাট এলাকায় মিষ্টি বিতরণের খবর পাওয়া গেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটুর প্রাথীতা ফিরে পাওয়ার মধ্য দিয়ে নড়াইল-২ আসনে নির্বাচনী আমেজ ফিরে আসছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা।

সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। নড়াইল ও লোহাগাড়ায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে লিটু একটি আলোচিত নাম।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছায়ের অবৈধ ঘোষনা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি সেখানে প্রর্থীতা ফিরে না পেয়ে উচ্চ আদালতের আপিল করেন।

সর্বশেষ সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু নড়াইল-২আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ভোটের মাঠে ভোটারদের মধ্যে নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। নড়াইল ও লোহাগড়ার সর্বত্র লিটুকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা তুঙ্গে।

সাধারণ ভোটারদের ভাষ্য, তারকা প্রার্থী মাশরাফি বিন মোর্তজার বাড়ি নড়াইল শহরে আর স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটুর বাড়ি লোহাগড়ায়। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে "আঞ্চলিকতা" মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে ভোটারদের ধারণা। সেক্ষেত্রে লোহাগড়ায় ভোটের হিসাব-নিকাশ বদলে যেতে পারে।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছায়ের অবৈধ ঘোষনা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি সেখানে প্রর্থীতা ফিরে না পেয়ে উচ্চ আদালতের আপিল করেন এবং দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে প্রার্থিতা ফিরে পান।

উল্লেখ্য, নড়াইল-২ আসনে মাশরাফি বিন মর্তুজা(নৌকা), ওয়ার্কার্স পার্টি অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান(হাতুড়ি), জাতীয় পার্টি-এরশাদ অ্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ(লাঙ্গল), এনপিপির মনিরুল ইসলাম(আম), গণফ্রন্টের মোঃ লতিফুর রহমান(মাছ) ও ইসলামি ঐক্যজোট মোঃ মাহবুবুর রহমান(মিনার), স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর ইসলাম (ঈগল)সহ মোট ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

(আরএম/এসপি/ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩)