স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুর জেলার সোহাগপুরের ঘটনার সাথে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সুপ্রিমকোর্টে দন্ডপ্রাপ্ত কামারুজ্জামানের জড়িত থাকার কোন সম্পর্ক নেই বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তার ছেলে হাসান ইকবাল।

সোমবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কামারুজ্জামানকে নির্দোষ দাবি করে চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেন তিনি। ওই সময় হাসান ইকবাল বলেন, সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের রায় ন্যায়ভ্রষ্ট।

এ সময় কামারুজ্জামানের স্ত্রী, পাঁচ ছেলে এক মেয়ে, কামারুজ্জামানের ভাই ও শ্যালক উপস্থিত ছিলেন।

হাসান ইকবাল বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি। সোহাগপুরের ঘটনার সাথে আমার বাবার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।

সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল বলেন, আমার বাবা সম্পূর্ণ নির্দোষ। অন্যায়ভাবে সাজানো অভিযোগে তাকে ফাসিঁর দণ্ড দেয়া হয়েছে। আমার বাবা কখনো সোহাগপুরে যাননি। এমনকি রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা ফর্মাল চার্জেও সোহাগপুর গণহত্যার সময় সেখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন মর্মে কোন অভিযোগ নাই।

তিনি আরো বলেন, এই মামলায় মূল সাক্ষীর তালিকায় ৪৬ জনের নাম ছিল। তাদের মধ্যে ১০ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার পর নতুন করে তিনজন মহিলাকে অতিরিক্ত সাক্ষী করে তাদের মাধ্যমে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।

ইকবাল বলেন, স্বাধীনতার সময় সাক্ষীরা আমার বাবাকে চিনতেনও না। তাদের কথায় আমার বাবার বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। এই রায় ন্যায়ভ্রষ্ট।

তিনি বলেন, ২০১১ সালে সোহাগপুরের গণহত্যা নিয়ে সাংবাদিক মামুন-উর রশিদ উক্ত এলাকা পরিদর্শন করে সোহাগপুরের বিধবা কন্যারা’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন। সেখানে অনেক সাক্ষীর সাক্ষাৎকার আছে। তাতে কেউ একবারের জন্যও বলেনি যে আমার বাবা এ ঘটনায় যুক্ত ছিলেন।

এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান তালুকদারের ২০১১ সালের অনুপম প্রকাশনী ‘মুক্তিযুদ্ধে নালিতাবাড়ী’ বইতেও আমার বাবার সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়নি।

সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় আমার বাবাকে জড়ানো হয়েছে।

রিভিউ আবেদনের সুযোগ দিলে তার পিতা খালাস পাবেন বলে আশা করেন হাসান ইকবাল।

(ওএস/এটিআর/নভেম্বর ১০, ২০১৪)