বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলীতে শিশুদের বিনোদনের কোনো সুব্যবস্থা নেই। পৌরসভায় শিশুদের জন্য নির্মিত একমাত্র পার্কটিও গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো মাঠ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘদিন পার হলেও এই শিশু পার্কটিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। হয়নি কোনো সংস্কারও। লোহার খেলনাগুলো মরিচা ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পার্কের ফটক ভেঙে গেছে। পার্কটি এখন গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। পার্কে ভাঙা ফটক আর প্রাচীর ভেদ করে গরু-ছাগল ঢুকে পড়ে অনায়াসে।

মাঠটিতে কচুগাছসহ বিভিন্ন আগাছা ও কাদায় ভরে গেছে। শিশুদের কোথাও দারাবার স্থান নেই। ভাঙ্গা গেট দিয়ে অহরহ গরু-ছাগল ঢুকে মলমূত্র ত্যাগ করায় পার্কের পরিবেশ দুষিত হচ্ছে এ ব্যাপারে যেন দেখার কেউ নেই। ফলে কোমল মতি শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের বিনোদন থেকে।

২০০৩ সালে শিশুদের চিত্ত বিনোদনের কথা চিন্তা করে তৎকালীন সরকার এলজিইডির মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন সংলগ্ন পূর্ব পাশে খেলার মাঠ ঘিরে একটি শিশু পার্ক স্থাপন করা হয়। মাঠের ভিতরে শিশুদের চিত্ত বিনোদন এবং খেলার জন্য লোহার দোলনা, মই, ছাতা ও বেঞ্চ নির্মাণ করা হয়। পার্কটি স্থাপনের পর শিশুদের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল। প্রতিদিন প্রায় ১শ থেকে দেড়‘শ শিশু এসে এখানে খেলাধূুলা করতো। কিন্তু নির্মাণের ২/৩ বছর যেতে না যেতেই পার্কে স্থাপিত লোহার খেলনাগুলোতে মরিচা ধরতে শুরু করে। এগুলো সংস্কারের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় আস্তে আস্তে খেলনাগুলো পুরোটাই ধংস হয়ে যায়। অকেজো খেলনাগুলো অনেকটা চুরি হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের মধ্যে দু’একটি খেলনা বাদে অন্যগুলো নেই। পুরো মাঠ কঁচুগাছ আর বিভিন্ন আগাছায় ভরে গেছে। পানি আর কাঁদায় মাঠে ঢোকাই দায়। ফলে এপার্কে এখন আর কোন শিশু খেলতে আসে না। শিশুদের পরিবর্তে প্রতিদিন সকাল বিকেলে দেখা যায় মাঠ ভর্তি গরু-ছাগল।

আমতলী পৌর সভায় বসবাসরত শিশু হাসান বলেন, শিশুদের জন্য নির্মিত শিশু পার্কে আমরা যেতে পারছি না। ফলে আমরা বিনোদন বঞ্চিত হচ্ছি এটা খুব অন্যায়।

এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান শিশুদের কথা বিবেচনা করে শিশুপার্কটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আমতলী পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার বলেন, আমতলীতে কোন স্টেডিয়াম ও শিশু পার্ক না থাকায় কোমলমতি ছেলেমেয়েরা বিপদগামী হচ্ছে তিনি আমতলীতে একটি স্টেডিয়াম ও শিশু পার্ক নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

(এমএইচ/এএস/নভেম্বর ১০, ২০১৪)