শিতাংশু গুহ


নির্বাচন হয়েই যাচ্ছে। বিরোধী দল হওয়া যাবেনা ভেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা অনেকেই কেটে পড়ছেন। এরমধ্যে প্রায় এক ডজন ঘোষণা দিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন। হয়তো দল সিদ্ধান্ত নিয়েই সরে দাঁড়াবে? দুষ্টরা বলছেন, সেটি হচ্ছেনা, যেভাবে তাঁদের নির্বাচনে আসতে বাধ্য করা হয়েছে, তেমনি থাকতেও বাধ্য করা হবে। সুতরাং, জিএম কাদের ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থী রানী’র কাছে হেরে গেলেও কিচ্ছু বলার নেই?  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাদেরকে নৌকা দিয়েছেন, তাঁদের নির্বাচিত হবার গ্যারান্টি দেননি। সুতরাং, নৌকা মানেই ‘বিজয়’ সেটি বোধহয় সবার জন্যে হচ্ছেনা। বলা হচ্ছে, ১৭০/১৭৫টি সিট আওয়ামী লীগ এমনিই পাবে বা নিয়ে নেবে? বাকি ১০০/১২৫ আসনে লড়াই হবে। এবার পুলিশ বাক্স ভরবে না, প্রশাসন হেল্প করবে না, নৌকার প্রার্থী যে গায়ের জোরে স্বতন্ত্রকে বের করে দেবেন, সেটিও সহজ হবেনা, কারণ তিনিও আওয়ামী লীগের।

নির্বাচনটি এবার নৌকা ভার্সেস আওয়ামী লীগের (স্বতন্ত্র)। শেষ পর্যন্ত হয়তো দেখা যাবে সাংসদ সবই নৌকা আর স্বতন্ত্র। এটি পরে সমস্যা হতে পারে। সেটি নির্বাচন পরবর্তী সমস্যা। নির্বাচনের পর নুতন সরকার ক্ষমতাসীন হলে, পরিস্থিতি ভিন্নতর হবে? যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক অবরোধ দিলেও সরকার হয়তো কিছুটা বেকায়দায় পড়বে, কিন্তু তাতে বিএনপি’র কোন লাভ নেই?

আওয়ামী লীগ সরকার রাতারাতি ধপাস করে পড়ে যাবেনা। নির্বাচনে না এসে বিএনপি ভুল করেছে। বিদেশীদের চাপে সরকারকে নির্বাচনটি সুষ্ঠূ ও অবাধ করতেই হতো। বিএনপি এই সুবিধাটি নিতে পারতো। ২০২৪-এর মে-মাসে ভারতে নির্বাচন, মোদী জয়ী হচ্ছেন। এতে শেখ হাসিনা’র লাভ। নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচন। হোয়াইট হাউস রিপাবলিকানদের হাতে যাবার সম্ভবনা উজ্জ্বল।

শেখ হাসিনা সরকার কোনমতে ২০২৪ পার হলে হয়তো পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। বাইডেন না থাকলে শেখ হাসিনা’র লাভ। রিপাবলিকানরা ক্ষমতায় আসলে ঢাকা-দিল্লির সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন হতেও পারে! তাই বলা যায়, নির্বাচনটি হয়ে গেলে নুতন অধ্যায় শুরু হবে। নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক না হলেও অবৈধ বলা যাবেনা। ৭ই জানুয়ারি কি এখনো অনেকটা দূরে?

লেখক : আমেরিকা প্রবাসী।