মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার বাহরবাগ গ্রামে চতুর্থ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী নদী খাতুনের বিয়ে দিতে গিয়ে শ্রীঘরে গেলেন কনের মামা আব্দুল ওয়াদুদ।

মাগুরার ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবার নেতৃত্বে ১০নভেম্বর বিকাল ৩টার দিকে সদর উপজেলার বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ের আয়োজক নদীর মামাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও বর পক্ষকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাগুরা সদরের এসি ল্যান্ড উম্মে হাবিবা জানান- বাহরবার গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির প্রথম ছাত্রী নদী খাতুন (১০) এর সঙ্গে মহম্মদপুর উপজেলার বেজড়া গ্রামের আতিয়ার মোল্যার ছেলে সাগর হোসেন (১৮) এর বিয়ে ঠিক করে।

এ খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বিয়ে বন্ধের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বারবার খবর দেয়া হয়। তিন দিন আগে থেকে তাদেরকে বিয়ে বন্ধের জন্য অনুরোধ করা হলেও তারা কথা শোনেনি।

বিয়ের দিন দুপুর থেকে রীতিমত গেট, প্যান্ডেল করে খাওয়া দাওয়ার ব্যাপক আয়োজন করেই মেয়েটির বিয়ের আয়োজন চলছিল। এ অবস্থায় দুপুরের পর বর পক্ষ বিয়ে করতে এসেছে এমন খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের স্বাক্ষী ও প্রমাণের ভিত্তিতে কনে নদী খাতুনের মামা আব্দুল ওদুদকে ১মাসের বিনশ্রম কারাদন্ড ও বর পক্ষকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে।

পরে ছেলেপক্ষ বিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। পুলিশ আব্দুল ওয়াদুদকে গ্রেফতার করে জেল হাজাতে প্রেরণ করেছে।


(এমএম/এসসি/নভেম্বর১১,২০১৮)