স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন দেশজুড়ে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জয় বলেন, সারাদেশে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে সারাদেশের ১১ হাজার তরুণ-তরুণী কাজ করছে। ক্ষেত্রবিশেষে তারা মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকাও আয় করছে। এটা সম্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে।

তিনি বলেন, আমরা প্রথমে চেষ্টা করেছিলাম প্রতিটি গ্রামে এই ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করার। যা একটা সাইবার ক্যাফের মতো কাজ করছে। যেখান থেকে গ্রামের মানুষ সরাসরি তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধা বা সুফল ভোগ করবে। কিন্তু সেটা হয়নি।

‘তারপর আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে তিন বছরের মধ্যে একসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হতে নেই। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার এই কাজ শেষ করেছে। আমরা প্রমাণ করেছি, মেধার দিক দিয়ে আমরা বিশ্বের চেয়ে কোনো অংশে কম নই।’

ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির দিক দিয়ে আমরা কিছুটা পিছিয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেটা গতি ও কোয়ালিটির দিক দিয়ে। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, আগামী চার বছরের মধ্যে হাইস্প্রিড ব্রডব্যান্ড কানেকশান আমরা দিতে পারব।

নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু দিন আগে আমি রংপুরে গিয়েছিলাম। সেখানে ডিজিটাল তথ্য সেন্টারের কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলি। তারাই আমাকে জানায় যে, মাসে তারা ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা উপার্জন করছে। এতে আমি খুব গর্ব অনুভব করি।

তিনি আরো বলেন, অথচ বিএনপি সময়ে এই উত্তরবঙ্গেই মঙ্গায় মানুষ অভাবে ভোগত। এখন সেখানে গ্রামে বসে মানুষ কাজ করছে। আপনারা কেউ ভুলবেন না, এটা আওয়ামী লীগ সরকার করেছে।

তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন ৪ হাজার ৫৪৭টি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে। এছাড়াও ৩২১টি পৌরসভা ও ১১ সিটি কর্পোরেশনের ৪০৭টি ওয়ার্ডেও রয়েছে ডিজিটাল সেন্টার। এসব কেন্দ্র থেকে ৬০ ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা নিতে পারছেন নাগরিকরা।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১১, ২০১৪)