শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ৭ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চিরিরবন্দরচউপজেলার ৬ নং অমরপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামে। ধর্ষণের অভিযোগ  একই গ্রামের মো:ফাহিম (২৫) এর  বিরুদ্ধে।ফাহিম একই পাড়ার একরামুল হকের ছেলে।

অভিযোগকারী ভিকটিমের বাবা জানান আমার বাড়ী ও ফাহিমের বাড়ী একই পাড়ায়, আমি আমার বাবার বাড়ি থেকে আনুমানিক ১০০ গজ দূরে দক্ষিণ দিকে নতুন বাড়ি করি।

আসামি ফাহিম আমার বাড়িতে যাওয়া আসা করিলে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, আমি ব্যবসার কাজে প্রতিদিন সকালবেলা বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই এবং আনুমানিক রাত্রি দশটার সময় বাড়িতে ফিরি।

আমার মেয়ে সন্ধ্যায় তার আমার বাড়িতে পড়াশুনার শেষে তার তার দাদার বাড়িতে আসার পথে ফাহিম আমার মেয়েকে বিভিন্ন প্রকার উচ্চাবিলাসী প্রলোভন দেখিয়ে আমার নাবালিকা মেয়ের বিরুদ্ধে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ,ঘটনার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য আমার মেয়েকে হুমকি প্রদর্শন করে এবং এভাবে বলে যে সে যদি এই বিষয়ে কাউকে বলে তাহলে তাকে জানে মারিয়া ফেলবে।

সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে আটটায় আমার নাবালিকা মেয়ে তার দাদার বাড়িতে ফেরার পথে আমার নাবালিকা মেয়েকে পথে একা পাইয়া আসামি ফাহিম রাতের অন্ধকারে মুখ চাপিয়া ধরিয়া বসতবাড়ি হইতে আনুমানিক ২০০ গজ পশ্চিম দিকে সরিষা ক্ষেতে লইয়া গিয়া আমার নাবালিকা মেয়েকে টানা হ্যাচরা করিয়া কাপড় খুলিয়া জোরপূর্বক ধর্ষণ করে, সে সময় রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় দু-তিনজন পথচার আমার মেয়ের গোঙ্গানির শব্দ পাইলে সরিষা খেতে আগাইয়া গেলে আসামি মো: ফাহিম ঘটনা স্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়"

এ বিষয়ে চিরিরবন্দর থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু হাসনাত খান ঘটার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ গতরাতে ঘটনাটি মুঠোফোনযোগে জানতে পেরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।সেই সাথে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।বর্তমানে মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে হেফাজতে আছে। ঘটনার পর হলে ছেলেটি পলাতক রয়েছে।পুলিশ অভিযুক্ত ফাহিমকে ধরার তৎপরতা চালাচ্ছে।

(এসএএস/এএস/ জানুয়ারি ০৯, ২০২৪)