সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার হাটবাজারে বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় যত্রতত্র পলিথিন-প্লাস্টিকসহ সব ধরনের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে। হাটবাজারগুলো নদী কেন্দ্রিক বর্জ্য নদীতেই ফেলে পানি দুষনের পাশাপাশি নদীর নাব্যতা হ্রাস ও পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে।

রামপাল উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার নদী কেন্দ্রিক পেড়িখালী বাজারের সকল বর্জ্য বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘোষিয়াখালীর আর্ন্তজাতিক নৌচ্যানেলে ফেলা হচ্ছে। এছাড়াও ফয়লা বাজার, ডাকরা বাজার, কালিগঞ্জ বাজার, গিলাতলা বাজার, ঝনঝনিয়া বাজার, চাকশ্রী বাজার, বেতকাটা বাজার, গোনা বাজার ও গৌরম্ভা বাজারের সব বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে। এছাড়াও স্থলভাগের ভাগা বাজার, শ্রীফলতলা বাজার, সন্নাসীর বাজার, বাবুর হাট বাজারের সম্পুর্ন বর্জ্যও নদী ও খালে ফেলা হচ্ছে।

বাজারগুলোর এসব বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলায় পানি দুষনসহ নদীর নাব্যতা হ্রাস ও মারাত্মক পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। বাজারগুলোর ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসন বা ইজারাদারা বাজারের বর্জ্য নিদৃষ্ট স্থানে ফেলতে ডাস্টবিন বা কোন ডাম্পিং ব্যবস্থা না করে পলিথিন-প্লাস্টিকসহ সব ধরনের বর্জ্য সরাসড়ি ফেলা হচ্ছে নদীতে। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকলেও বর্জ্য নদীতে না ফেলার বিষয়ে তাদের কোন তদারকি নেই।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)'র বাগেরহাট জেলা সদস্য সবুর রানা জানান, রামপাল উপজেলার হাটবাজারে বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় যত্রতত্র পলিথিন-প্লাস্টিকসহ সব ধরনের বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে। প্রশাসনের নজর না থাকায় নদীতে বর্জ্য ফেলে পানি দূষন করায় পানিবাহিত রোগবালাই বাড়ার পাশাপশি নাব্যতা হ্রাস ও পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। বাজারগুলোতে বর্জ্য নিদৃষ্ট স্থানে ফেলতে ডাস্টবিন ও ডাম্পিং ব্যবস্থা না থাকার জন্য এমনটি হচ্ছে বলে দাবী জানান এই পরিবেশ আন্দোলনের নেতা।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ১০, ২০২৪)