ইন্দ্রজিৎ সাহা, কালিয়াকৈর : গত এক মাসের ব্যবধানে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সিনাবহ এলাকায় যমুনা ইলেকট্রনিক্স এন্ড অটোমোবাইল কারখানার শ্রমিকরা ফের কর্মবিরতি সহ বিক্ষোভ করেছেন।

আজ শনিবার শ্রমিকরা সকালে যথারীতি কাজে এসে কাজে যোগদান না করে সবাই একসাথে জড়ো হয়ে কর্ম বিরতিতে যান এবং আন্দোলন শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার বিভিন্ন ইউনিট ভাঙচুরের চেষ্টা চালায় এ সময় তারা যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলস কারখানার কর্মকর্তাদের খুঁজতে থাকেন। পরে কর্মকর্তারা নিজেদের শ্রমিক রোষানলের হাত থেকে রক্ষা করতে আত্মগোপনে চলে যান। পরে যমুনা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে গতবারের মতো শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে করণীয় কী তা নিয়ে আলোচনায় বসেন।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক জানান,তাদের ৭ দফা দাবি মেনে না নিলে ভবিষ্যতে তারা কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন।

৭ দফা দাবি

১. সঠিক এবং সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সকল শ্রমিকের বেতন নির্ধারিত গ্রেড অনুযায়ী করতে হবে।

২. সি এল ১০দিনএবংএম এল ছুটি দিতে হবে যাহা সকল ছুটি- বছরের শুরুতে পাস করতে।সি এল এবং এমএল ছুটি কাটালে হাজিরা বোনাস থাকবে।

৩. প্রত্যেক বছর সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বেতন বাড়াতে হবে এবং পাঁচ বছর পর পর বেসিক বেতন বাড়াতে হবে।

৪. অফিস কোন কারনে অথবা কোন দরকারে বন্ধ দিলে এবং বন্ধ থাকলে শ্রমিকের কাছ থেকে কোন ওভারটাইমের ঘন্টা কাটতে পারবে না।

৫. অকারণে ও ছাটাই করে কোন শ্রমিককে বের করে দিলে তাকে তিন মাসের বেতন দিয়ে বের করতে হবে

৬. ওভারটাইমের টাকা বেতনের সাথে দিতে হবে।

৭. অর্জিত ছুটি না কাটালে ছুটির টাকা বছরের শেষে প্রদান করতে হবে।

এসময় যমুনা ইলেকট্রনিক্স এন্ড অটোমোবাইল্স কারখানার তিনজন কর্মকর্তা জেনারেল ম্যানেজার ড.জাকির, ম্যানজার মোশারফ ও ম্যানেজার মিনহাজের অপসারণ দাবি করেন।

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জেনারেল ম্যানেজার ডক্টর জাকির হোসেন কে অপসারণ করার খবর পাওয়া গেছে। কারখানার ম্যানেজার মোশারফ হোসেন কে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

শিল্প পুলিশের ওসি বাবু নিতাই চন্দ্র জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেছি তবে এখনও পর্যন্ত শ্রমিকদের নেতৃবৃন্দ ও কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।

(আইএস/এসপি/জানুয়ারি ১৩, ২০২৪)