মোংলা বন্দরে চুরি বন্ধ করতে পুলিশকে আল্টিমেটাম খুলনা সিটি মেয়রের
সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপালে) আসনে নির্বাচন আগে ও পরে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. ইদ্রিস আলীর কর্মীদের হামলায় নৌকা প্রার্থী বিজয়ি এমপি হাবিবুন নাহারের কর্মীদের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বিগত ২৫-৩০ বছরে মোংলা বন্দরে তেল ও সার চুরি, বিদেশী জাহাজে ডাকাতি হয়নি, এখন এসব বন্ধ করেন। তা না হলে আমি সাংবাদিক সম্মেলন করবো এবং রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে এ অন্যায় অত্যাচার বন্ধ করবো। মোংলা বন্দরের চোরাকারবারি, ভূমিদস্যুতা, মাদককারবারী ও বাজার সিন্ডিকেট থাকবেনা, এসব বন্ধ করেন।
শনিবার বিকালে মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ চত্তরে নির্বাচনোত্তর কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা সিটি মেয়র আরও বলেন, পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, নৌকার লোকজন কি শুধু মারই খাবে, যদি এলাকায় শান্তি না থাকে তাহলে প্রশাসন থাকার কোন যৌক্তিকতা নেই। আমার লোকজন যেন আর কোথাও অপমান ও মার না খায়। আমি মেয়র ছাড়াও চারবার এমপি ও আমার সহধর্মিণীও চারবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি, পুলিশ ও প্রশাসনের দয়ায় নয়, জনগণের ভোটে। আপনানা খালেক তালুকদারকে চেনেন। মোংলার পুলিশ ও প্রশাসনকে বলে আসছি আমাদের পক্ষে নয়, নিরপেক্ষ থাকবেন। নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিপক্ষের এতো অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে ও অদৃশ্য ক্ষমতার ভীত না হয়ে এখানকার জনগণ নৌকায় ভোট দিয়েছেন। এজন্য তিনি ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে নির্বাচনোত্তর কর্মীসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোল্লা আ. রউফ, দপ্তর সম্পাদক অম্বরিশ রায়, মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শেখ আব্দুস সালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিমসহ অন্যান্যরা।
(এসএসএ/এএস/জানুয়ারি ১৩, ২০২৪)