নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ কঠোর ভাবে দায়িত্ব পালনে হেতু কিছু  স্থানীয় মানুষের দুরভিসন্ধিমূলক প্রচার প্রচারনায় পুলিশের মনোবল ও আত্মসন্মান নষ্টের চেষ্টায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় টি এন্ড টি রোডের শিক্ষক জাহানারা বেগমের বাড়ীতে চুরির ঘটনার ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ যথারিতি চেকপোস্ট বসায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ জানুয়ারী শনিবার ভোররাতে পৌরশহরের চৌরাস্তা মোড়ে এ এস আই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এবং এ এস আই আতিকুর রহমানের নেত্রীত্বে পুলিশী তল্লাসীর সময় একটি সি এন জি দ্রুতগতিতে পুলিশী সিগনাল অতিক্রম করার সময় তীগ্ন দক্ষতায় সি এন জিকে আটক ও যাত্রীদের যথারিতি তল্লাসী এবং জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এতে একজন যাত্রী নিজেকে হারুন অর রশিদ (৩৮) পিতা আলাল উদ্দীন, আস্রবপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন, পুলিশ টি এন্ড টি রোডের শিক্ষকের বাসায় চুরির ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

যাত্রী হারুন বলেন, আমি ময়মনসিংহ মুন্না ক্লিনীক থেকে আমার নিজ বাড়ীতে ফিরছি, আমার স্ত্রী মুন্না ক্লিনীকে একটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন, এবং সেখানে ভর্তি আছেন। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর একপর্যায়ে পুলিশ আমাদের ছেড়ে দেয়। পরদিন সকাল ঈশ্বরগঞ্জের সাংবাদিক আল আমিন এবং সাংবাদিক ওবায়দুল্লাহ রুমী আমাকে তাদের অফিসে ডেকে নিয়ে রাত্রের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এবং আমি ঘটনা বিস্তারিত বলার পরে, উনারা আমাকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি লেখাপড়া জানি না। তাই উনাদের জিজ্ঞাসা করলে বলেন, জাহানারা বেগমের বাসায় চুরির মামলায় তোমাদের দেওয়া হবে। তাই এই স্বাক্ষর দাও। তাহলে তোমাদের মামলা দেওয়া হবে না। পরে জানতে পারি এই দুই সাংবাদিক আমাদের সহি করা কাগজে আমাদের নামে মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে ঈশ্বরগঞ্জ পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। যাহা মোটেও সত্য নয়। এবং তিনি বলেন আমি সুস্থ্য ও স্বজ্ঞানে নিজ ইচ্ছায় থানায় এসে আমার বক্তব্য জানালাম।

এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, থানা পুলিশকে কুক্ষিগত করার হীনস্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কুৎসা রটনা ও পুলিশের মনোবল ভাঙ্গার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, যা সুষ্টভাবে দায়িত্ব পালনে পুলিশের জন্য মোটেও সুখকর নয়।

এ ব্যাপারে এই প্রতিবেদকের কাছে ঈশ্বরগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মাজেদুর রহমান জানান, চুরির ব্যাপারে আমাদের থানা পুলিশ কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশী তল্লাসীর সময় জনৈক হারুন অর রশিদকে দিয়ে কিছু দুষ্টলোক পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করেছিল। কিন্ত হারুন নিজের থেকেই থানায় এসে তার বিরুদ্ধে যে দুরভিসন্ধিমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তার লিখিত ব্যাখ্যা দিয়ে তিন দিয়ে গেছেন। ঘটনাটি সাজানো ও ব্যাক্তিস্বার্থ নিহিত। এ ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য সকল কে অনুরোধ করেন তিনি।

তিনি বলেন, যে দুইজন অফিসারকে নিয়ে এই অপপ্রচার হচ্ছিল, তারা আমার থানায় সৎ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে সবাই অবগত।

(এনআরকে/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০২৪)