বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বামনার সারওয়ারজান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে নাটক করার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগে জানাযায়, আগামী ২৭ নভেম্বর ওই স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সে লক্ষে মঙ্গলবার প্রার্থীদের মনোনয়ন জমাদানের শেষ তারিখ ছিলো। কিন্তু বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ এই নির্বাচনের তফসিল প্রকাশ্যে ঘোষণা না করে গোপনে তার মনের মতোন প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম প্রদান করেন। তবে অভিযোগ উঠেছে চার জন প্রার্থীরা আদৌ মনোনয়ন পত্র মঙ্গলবার জমাদানের শেষ দিনের সময় বিকাল ৫টা পর্যন্ত জমা দেয়নি।
এদিকে এই গোপন নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংবাদ জেনে এক সাংবাদিক অভিভাবক সদস্য হিসেবে মনোনয়ন ফরম কিনতে গেলে তার কাছে ওই অধ্যক্ষ ফরম বিক্রি করতে রাজি হয়নি। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি জেনে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে এক পর্যায়ে তিনি দুইটি ফরম বিক্রি করতে বাধ্য হয়। এই স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে দুই জন কলেজ শাখার অভিবাবক সদস্য ও দুইজন স্কুল শাখার অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হবেন।
গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমাদানের শেষ সময় হলেও বিকেল সাড়ে ৫টায় নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলামের কাছে ওবায়দুল কবির আকন্দ দুলাল ও মো. ফারুক আহম্মেদ আকন ছাড়া কারো মনোনয়ন জমা পড়েনি বলে অভিযোগে জানাযায়। এছাড়া অভিযোগে আরো জানাযায়, গতকাল বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটের সময় স্কুলের নোটিশবোর্ডে নির্বাচনের তফসিলটি টানানো হয়।
এই নির্বাচনে যারা কলেজ শাখার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন কিনেছেন তারা হলেন, মো. আবুল কালাম আজাদ ও মো. আবুল কালাম। স্কুল শাখার অভিবাবক সদস্য পদে যারা মনোনয়ন কিনেছেন তারা হলেন, মো. সাইদুর রহমান সবুজ, গোলাম সাব্বির ফেরদৌস তালুকদার, ওবায়দুল কবির দুলাল ও মো. ফারুক আহম্মেদ আকন।
এবিষয়ে অভিভাবক সদস্য পদে মনোনয়ন ক্রয়করা মো. ফারুক আহম্মেদ বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাহেব নির্বাচনের তফসিল গোপন করে তার পছন্দের প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত করার পায়তারা করেছিলেন। এই নির্বাচনে মাত্র দুই মনোনয়ন ছাড়া আর কোন মনোনয়ন জমা পরেনি। তবে রাতের আঁধারে অধ্যক্ষ মহোদয় ফরম জমা করতে পারেন।
আরেক অভিভাবক সদস্য মো. ওবায়দুল কবির আকন্দ দুলাল বলেন, আমি এক বিশেষ সূত্রে এই নির্বাচনের ক্র জানতে পেরে প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন কিনতে গেলে অধ্যক্ষ আমার কাছে প্রথমে মনোনয়ন বিক্রি করতে রাজি হয়নি। পরে সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে তিনি মনোনয়ন পত্র বিক্রি করেন।

এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা সঠিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। এখানে কোন প্রকার নাটক হয়নি।
প্রিজাইডিং অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মাত্র দুইটি মনোনয়ন পত্র আমি হাতে পেয়েছি। বাকি মনোনয়ন অধ্যক্ষের কাছে আছে। আমি সে মনোনয়ন পত্র গুলো দেখিনাই।

(এমএইচ/এটিআর/নভেম্বর ১১, ২০১৪)