ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি এলজিইডির এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৫ কোটি টাকার টেন্ডার ফরম কিনতে গিয়ে আটক হলেন ঝালকাঠি যুবলীগের ৩ নেতা।এরা হলেন সাজ্জাাদুল আলম মুন্না, রিফাত হাসান রুবেল ও শাহিন মল্লিক।

সোমবার এই কাজের সিডিউল না পাওয়ায় এরা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে গিয়ে প্রতিবাদ জানায়। এরপর সন্ধায় নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে চাাঁদা চাওয়ার অভিযোগে তাদেরকে থানায় নিয়ে আটক করা হয়।

রাতে এই অভিযোগে নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম সরকার বাদী হয়ে এই তিনজনসহ মোট ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার আটককৃতদের সিনিয়ন জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুজ্জামান জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।

মামলার এজাহারে বাদী এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম সরকার উল্লেখ করেন, আসামিরা ১০ নভেম্বর কার্যালয়ে গিয়ে তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাাঁদা দাবী করে। ইহা দিতে অসম্মতি জানালে তাকে মারধর করে হুমকি দেয়।

এব্যাপারে যুবলীগ নেতা ঠিকাদার রিফাত হাসান রুবেল ও শাহিন মল্লিক বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে মামলাটি সম্পুর্ন উদ্দেশ্য মূলক। ঐ দিন ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি নং ৪ কাজের দরপত্র ক্রয়ের শেষ দিন ধার্য ছিল। তাই অফিসে গিয়ে এই কাজের দরপত্র না পেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস রুমে তার স্বরনাপন্ন হই। তিনি দরপত্র দেয়া যাবেনা জানালে আমরা এর কারন জানতে চাই। তিনি আমাদের বলেন, মন্ত্রীর নির্দেশ আছে। এতে আমরা হতাশ হয়ে সেখান থেকে ফিরে আসি।

এই যুবলীগ নেতাদ্বয় আরো জানান, আমরা জানতে পেরেছি নির্বাহী প্রকৌশলী তার ঘনিষ্ট এক ঠিকাদারকে এই কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য আমাদের দরপত্র দেয়নি এবং প্রতারনার আশ্রয় নেয়। নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলার সময় তার পছন্দনীয় ঠিকাদারের ভাই ও তার লোকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে উক্ত কাজের অন্য ঠিকাদারদের কাছে টেন্ডার বিক্রয় না করে সরকারকে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং প্রকাশ্য টেন্ডারে অংশ নিতে না দিয়ে নাগরিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে।

এই মর্মে নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন জাহাঙ্গীর হোসেনের পক্ষে ঝালকাঠি জজ আদালতের এ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান। এই নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয় যে, এহেন কাজ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি দমন আইনের ৫(২) ধারায় কেন অপরাধ হবেনা জানতে চেয়ে ৩ দিনের মধ্যে নির্বাহী প্রকোশলীর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও নোটিশে ঠিকাদাররা টেন্ডার ফরম কিনতে না পারায় উক্ত টেন্ডারের পরবর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

(ওএস/এসসি/ নভেম্বর ১২,২০১৪)