মাগুরা  প্রতিনিধি : মাগুরায় প্রবাসী স্ত্রীকে পিটিয়ে মারাত্মক যখম করেছে পাষন্ড স্বামী । নিজের আয়ের টাকা স্বামীর হাতে তুলে দিয়ে প্রয়োজনের সময় চাইতে গিয়ে পাষন্ড স্বামীর নৃশংস নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মাগুরার এক প্রবাস ফেরত গৃহবধূ। সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন নিয়ে মাগুরার সদর হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন  শিরিনা খাতুন (৩০) নামের ওই গৃহবধূ।

মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিরিনা খাতুন উত্তরাধিকার৭১নিউজকে জানান- ১৪ বছর আগে মাগুরা সদর উপজেলার ইছাখাদা কাঞ্চনপুর গ্রামের ইমান আলী বিশ্বাসের ছেলে ইব্রাহিম বিশ্বাসের সাথে তার বিয়ে হয়।বিয়ের পর তাদের সংসারে অভাব অনটন চলছিল। এ সময় তার সংসারে তিনটি মেয়ে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। প্রায় ৩ বছর আগে সংসারে সচ্ছলতা আনতে তিনি জর্ডানে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে যান। তিনি বিদেশ থাকার সময়ই স্বামী ইব্রাহিম দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তিন মাস আগে বিদেশ থেকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এ সময় ইব্রাহিম বিশ্বাস নানা রকম ছল চাতুরি করে তার কাছে বিদেশ থেকে আয় করা আনা টাকা চায়।

স্বামীর ছল চাতুরিতে ভুলে তিনি স্বামী ইব্রাহিমের হাতে নগদ ৩লাখ টাকা তুলে দেন। স্বামীকে শেষ সম্বল তুলে দেয়ার পর থকেই ইব্রাহিম বিভিন্ন সময় তার উপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে। সম্প্রতি আবারো বিদেশে যাওয়ার জন্য তিনি তৈরী হব। এ সময় স্বামীর কাছে নিজের রক্ষিত টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা চাইতে গেলে স্বামী ইব্রাহিম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মিলে শিরিনার উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে শিকল দিয়ে বেধে ৩দিন ধরে ঘরে আটকে রাখে। এতে তিন সন্তানের জননী শিরিনা গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরেন। এ খবর পেয়ে শিরিনার পরিবারের লোকজন পুলিশের সহায়তায় আজ মঙ্গলবার সকালে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মাগুরা সদর থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান- পুলিশ নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে হাসপতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে। স্বামী ইব্রাহিম বিশ্বাস পালাতক রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


(ডিসি/এসসি/ নভেম্বর ১২,২০১৪)