কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : সরকারির নিয়ম  নীতির কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে ফসলি জমিতে স্থাপন করা হয়েছে এ এস পি ব্রিক্স। ওই ব্রিক্সের নামে নেই পরিবেশের কোন ছাড়পত্রও। তাহলে কেমনে চলছে এই ইট ভাটা ? এ প্রশ্ন সমাজের সচেতন মহলের। আবার প্রশ্ন উঠেছে এই ইট ভাটার বিষয়ে যারা তদারকি করবেন তারা একেবারেই চোখ বুঝে রয়েছেন। আদায় করে নিচ্ছেন অদৃশ্য নানান সুবিধা।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় বেশ কয়েকটি ইট ভাটা রয়েছে। এ মধ্যে বলাইশিমুল ইউনিয়নের উলুয়াটি নামক স্থানে গত কয়েক বছর আগে স্থাপন করা হয়েছে এ এস টি ব্রিক্স। কেন্দুয়া নেত্রকোনা সড়ক সংলগ্ন ফসলি জমিতে ওই এ এস টি ব্রিক্স স্থাপিত হলেও এই ব্রিক্সের অনিয়ম দেখার জন্য কেউ নেই। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক। স্থানীয় জনগণ অভিযোগ করে বলেন, এই কেন্দুয়া নেত্রকোনা সড়ক দিয়ে প্রায় প্রতিনিয়তই জেলা, উপজেলা ও পুুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের গাড়ী চলাচল করে। প্রায় ১৫ একর ফসলি জমিতে ইট ভাটা তৈরি করে সেখানেই পুরানো হচ্ছে।

তিন ফসলি এই জমিতে ইট ভাটা স্থাপন করায় এই জমিতে আর কোন দিন ফসল ফলানো যাবে না। পরিবেশের ছাড়পত্র নিয়ে ইট ভাটার পরিচালনার নিয়ম থাকলেও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই দাপটের সাথে চলাচ্ছেন এ এস টি ব্রিক্স। মোঃ সালাউদ্দিন, জহিরুল ইসলাম আঞ্জু, আবু তৌহিদ, শহিদুল্লাহ ও মোঃ ফারুক যৌথভাবে অর্থায়ণের মাধ্যমে এ এস টি ব্রিক্স পরিচালনা করে আসছেন।

রবিবার বিকালে ওই ব্রিক্সসে গেলে সেখানে পাওয়া যায় ভাটলারা গ্রামে সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ম্যানেজার আনিছুর রহমানকে। তার কাছে এ এস টি ব্রিকসের লাইসেন্স, পরিবেশের ছাড়পত্র অন্যান্য বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সব বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আমি শুধু ইট বেচা কেনার ম্যানেজার। আপনি জানতে চাইলে জহিরুল ইসলাম আঞ্জু সাহেবের সাথে ফোনে কথা বলোন। পরে প্রোপাইটার জহিরুল ইসলাম আঞ্জুর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ১৩/১৪ একর জমিতেই এ এস টি ব্রিক্স স্থাপন করা হয়েছে। পরিবেশের ছাড়পত্র আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি দিয়ে আপনি কি করবেন ? পরে অবশ্য ছাড়পত্র নেই বলে স্বীকার করেন। তাছাড়া ছাড়পত্র সংগ্রহের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

ফসলি জমিতে ইট ভাটা স্থাপন করে পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া ইট ভাটাগুলো চলছে। এ বিষয় জানতে চাইলে কেন্দুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মোঃ রাজীব হোসেন বলেন, এসব বিষয় আমরা অবগত আছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারছিনা। তবে খুব সহসায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব বিষয়গুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব।

(এসবিএস/এএস/জানুয়ারি ২৮, ২০২৪)