স্টাফ রিপোর্টার : বরেণ্য নাট্যজন আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, বিভিন্ন বিষয়ে তত্ত্ব ও ইতিহাস পড়ানোর মাধ্যমে শেখানো হয়। তবে নাট্যকলায় অভিনয়শিল্পীকে মূলত শিখতে হয় দর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ সৃষ্টি করা ও অভিনয়টা দর্শকরা কতটা হৃদয়ে ধারণ করছেন তার মধ্য দিয়ে। আমি মূলত নানা মানুষের নানা বিচিত্র জিনিস দেখে শিখি।

রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো নাট্যোৎসবে উদ্বোধনী নাট্য ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নাট্যোৎসব উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে যারা একাডেমিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ করছেন তারা ভাগ্যবান। কারণ তারা দুটোই শিখছে। যেমনিভাবে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে অনেক বই পড়লে জ্ঞানী হওয়া যায় তেমনিভাবে এই শিক্ষার্থীরা মানুষকে যত বেশি দেখবে ও জানবে তত বেশি শিখবে।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, খেয়াল রাখতে হবে আমাদের নাটকগুলো যেন সবসময় বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে হয়। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও জাতির পিতার নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনা যেন সবসময় আমরা ধারণ করতে পারি।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, নাটক সমাজ পরিবর্তনের একটি বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে, নানা রকমের চরিত্র নানাভাবে মানুষকে আন্দোলিত করে। সংস্কৃতি চর্চায় আমাদের নারীরা দেশ বিভাজনের সময় থেকেই অগ্রগামী ছিল। পূর্বে সংস্কৃতি চর্চার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল পুরনো ঢাকা যা এখন বিলুপ্তপ্রায়। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুরনো ঢাকার সবাইকে সম্পৃক্ত করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মূল ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন পথ নাটক তৈরির মাধ্যমে সমাজে জনসচেতনতা তৈরি করা যেতে পারে। প্রগতিশীল সমাজ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, কল্যাণমুখী রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিকতার চর্চা,মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও বাক স্বাধীনতা এগুলোর জন্য নাট্যকলার গুরুত্ব অপরিসীম।

নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ক্যাথরিন পিউরীফিকেশনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

‘কি ধ্বনি বাজে, গহনচেতনামাঝে’ স্লোগানকে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো নাট্যোৎসব আয়োজন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ। আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন দুটি করে নাটক প্রদর্শিত হবে।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ২৯, ২০২৪)