রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়কের কালিগঞ্জে সরকারি গাছ  কেটে সরকারি খাল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে সুশীলন নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সোমবার উপজেলা সদরের রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের পাশ্ববর্তী খালে আটটি ডাম্পার ও একটি  এসকেবেটর মেশিন দ্বারা মাটি ভরাটের মাধ্যমে দখল কার্যক্রম চালালেও  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাশের  ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। যে কোন সময় আবারো খাল ভরাট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

বাজারগ্রাম রহিমপুরের বাসিন্দা রহমত আলী ও সাব্বির হোসেন জানান, সোমবার সকাল ৯ টা থেকে রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের পাশে বেসরকারি সংস্থা সুশীলন অফিসের পাশে ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারি পরিচালক আক্তারুজ্জামানের নির্দেশে কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই সরকারি গাছ কেটে মেশিন দিয়ে খাল ভরাটের কাজ শুরু হয়।

বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আক্তারুজ্জামানের বচসার একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর কুমার দাশকে মোবাইল ফোনে জানালে সব কিছুই তাকে দেখতে হবে এটা ঠিক নয় মর্মে সাংবাদিকদের জানানো হয়। ফলে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল কাশেম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে জানালে তিনি সরকারি দখল বন্ধ করার জন্য গ্রামপুলিশ হাফিজুর রহমানকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠান। কিন্তু ভরাট কাজ বন্ধ হবে না বলে গ্রামপুলিশকে জানিয়ে দেন সুশীলনের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান পল্টু। পরে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল কাশেম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জরুরি উদ্যোগ নিয়ে খাল দখল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। তবে এর আগেই খালটির বেশ কিছু অংশ ভরাট ও একটি মাঝারী আকৃতির নীম গাছ কেটে ফেলা হয়। তবে উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সুশীলন যে কোন সময় আবারো খাল ভরাট করতে পারে বলে আশাঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে সুশীলনের সহকারি পরিচালক আক্তারুজ্জামান পল্টু বলেন,সড়ক ও জনপথ বিভাগের ওই জায়গা বন্দোবস্তের জন্য সাতক্ষীরা অফিসে আবেদন করা হয়েছে। বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করে সরকারি জায়গা দখল করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি। তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ৩১, ২০২৪)