স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের নির্বাচনী ফলাফলের গেজেট দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানের একক বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। ঝিনাইদহ-১ আসনে ট্রাক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাসের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন আদালত। আদালতে নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাসের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ মজিবুর রহমান।

বাদীর আইনজীবী মজিবুর রহমান গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে ইসির গেজেট স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের জন্য এ স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসনের ১৭১টি কেন্দ্রের ভোটগণনা শেষে নির্বাচিত হন আব্দুল হাই। তিনি পান ৯৪ হাজার ৩৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী বিশ্বাস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম পেছিলেন ৭৯ হাজার ৭২৮টি ভোট। আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬ হাজার ৩৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৭ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৯ জন। এখানে কেন্দ্রের সংখ্যা মোট ১১৭টি।

এ ছাড়া লাঙল মার্কার প্রার্থী মনিকা আলম পান ৩৯৬ ভোট। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তৃনমুল বিএনপির কে এম জাহাঙ্গীর মাজমাদার সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে পান ১৬০ ভোট ও আম মার্কায় মোঃ আনিছুর রহমান ২৩৯ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আবদুল হাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করা হয়। শৈলকূপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তায়জুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ২৬ ডিসেম্বর আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত। কিন্তু আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ৩ জানুয়ারি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে ৪ জানুয়ারি ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের আদালত তাদের আট সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আজ ২ ফেব্রয়ারি তারিখের মধ্যে শৈলকূপা থানা-পুলিশকে এ ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত।

(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৪)