একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের নটাভাঙ্গা সড়কের মূল্যবান ৮টি (বাবলা) গাছ কেটে বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। গত ৩১ জানুয়ারি (বুধবার) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলার নির্দেশনা দিয়েছে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের নটাভাঙ্গা সড়কের দুই পাশ দিয়ে দারিয়ে আছে সারিসারি বাবলা গাছ। দাঁড়িয়ে থাকা গাছের মধ্য থেকে ৮টি বাবলা গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একটি গাছের ঢালপালা ছেটে রাখা হয়েছে। কাটা গাছগুলো নিয়ে রাখা হয়েছে নটাভাঙ্গা চেয়ারম্যান মোড়ের পলাশ নামের এক ব্যাক্তির চায়ের দোকানের পিছনে। গাছগুলো কে বা কারা কেটেছে এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলে জানায় স্থানীয়রা। তবে এ ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে পাংশা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে, কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলাম।

অভিযুক্তরা হলেন, কসবামাজাইল ইউনিয়নের মৃত শাহজিৎ খানের ছেলে খায়রুল খান (৫০), মনোহর শেখের ছেলে মুরাদ শেখ (৫০), মতিয়ার শেখের ছেলে মিজান শেখ (৩৫), দিলবার বিশ্বাসের ছেলে চাঁদ বিশ্বাস (৪০), মজিবর খানের ছেলে বাশি খান (৪০), নুরু বিশ্বাসের ছেলে রোকন বিশ্বাস (৩৫), আনছার খানের ছেলে রাজ্জাক খান (৩৫), হামেদ বিশ্বাসের ছেলে আক্তার বিশ্বাস (৩৫), মুস্তাজ মন্ডলের ছেলে জাফর মন্ডল (৪০), আত্তাপ মন্ডলের ছেলে শুকুর মন্ডল (৩৫), আব্দুর রহমানের ছেলে মনোয়ার হোসেন খান (৩৫), মৃত ইজাহার খানের ছেলে আব্দুল বারেক খান (৫৫) ও আঃ রশিদ শেখের ছেলে শামীম শেখ (৪৫)।

এ বিষয়ে কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়া সুফল বলেন ইউনিয়ন পরিষদের জাইগার গাছ কেটেনিয়েছে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি স্যার মামলা করতে বলেছে ইউনিয়ন পরিষদ বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। ইউনিয়নের ৬০শতাংশ জমির রাস্তার পাশে রোপিত পরিপক্ক বাবলা গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে তিনি গাছ কাটা ও বিক্রির সাথে জড়িতদের চিহ্নিতপূর্বক মামলা করার নির্দেশনা দেন। তার দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এরা সবাই এই গাছগুলো কাটা এবং বিক্রির সাথে জড়িত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জানার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরোও জানান, উপজেলা এলাকায় কোন ব্যক্তি অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপ্নন কুমার মুজমদার জানান, এ বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তার ও গাছগুলো উদ্ধার অভিযান চলছে।

(একে/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৪)