শাহনাজ পারভীন, বকশীগঞ্জ : বকশীগঞ্জ উপজেলার যৌতুকলোভী স্বামী আদালতে স্ত্রী সন্তান বুঝে নিয়ে পথে এসে বকশিগঞ্জ পৌর সদরে রেখে কৌশলে পালিয়ে গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ৩১ জানুয়ারি বকশীগঞ্জ উপজেলার পৌর সদরে। জানা গেছে উপজেলার মেষেরচর বড়ইতারী গ্রামের বাবুল হোসেনের কন্যা বিউটিকে একই উপজেলার দক্ষিণ বগারচর গ্রামের মোঃ নবীর হোসেনের পুত্র মোঃ মিজানের নিকট গত ০৪ জানুয়ারি রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে বিবাহ দেয়। বাবুল হোসেন মেয়ে ও জামাতার ভবিষ্যতে সুখের কথা চিন্তা করে মেয়েকে সোনার গহনা, গৃহস্থালির জন্য আসবাবপত্র ছাড়াও ৩ লক্ষ টাকা মেয়ে জামাই এ-র হাতে তুলে দিয়েছে। জামাতা মিজান কিছুদিনের মধ্যে শশুরের দেয়া সমস্ত টাকা জুয়া খেলে অন্যান্য খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে শেষ করে ফেলে। জুয়ারি মিজান,টাকার নেশায় স্ত্রী বিউটিকে ব্যাপক মারধর করে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে তার শশুর বাড়িতে খবর পাঠায়। খবর পেয়ে বিউটির পিতা গত১১/০৯/২০২২ তারিখে জামাতার বাড়ি থেকে বিউটিকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় বিউটি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বাপের বাড়ি থাকা অবস্থায় ২ মাস পর বিউটি ১ টি কন্যা সন্তান প্রসব করে। বিউটির স্বামী স্ত্রী সন্তানকে কোন প্রকার খোঁজখবর না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ১, জামালপুর একটি মোকদ্দমা দায়ের করে। যার মোকদ্দমা নং ২০৯/২০২২। মামলার মামলার প্রেক্ষিতে বিউটির স্বামী মোহাম্মদ মিজান তার স্ত্রীকে গত ৩১ জানুয়ারি বিজ্ঞ আদালতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঘর সংসার করবে মর্মে কোটের মাধ্যমে বুঝিয়ে নেয়। যৌতুক লোভী লম্পট স্বামী মিজান বকশীগঞ্জ বাজারে এসে আইন আদালত তোয়াক্কা না করে স্ত্রী সন্তান ফেলে বাড়িতে পালিয়ে গেছে।

(এসপি/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৪)