আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের পশ্চিম আস্কর ও দক্ষিণ নাঘিরপাড় গ্রামের সীমান্তবর্তী বিলমুখী প্রদীপ বিশ্বাসের বাড়ি থেকে বিশ্বনাথ মন্ডলের বাড়ি পর্যন্ত মাত্র ছয়শ’ ফুট দৈর্ঘ্যের কাঁদা-পানির মধ্য দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজনের চলাচলের সমস্যা সমাধান যুগ যুগ ধরেও হয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ছয়শ’ ফুট দৈর্ঘ্যরে ওই রাস্তাটির জন্য শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, কৃষিকাজ, কৃষি পণ্য পরিবহন, মুমূর্ষ রোগীদের চিকিৎসা সেবাসহ নানাবিধ ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন শত শত বাসিন্দারা। গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, শত বছর পূর্বে তৎকালীন জমিদাররা প্রজাদের যাতায়াতের জন্য প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ও ২৫ ফুট প্রস্থের হালোটের জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। বর্তমানে ওই হালোটের জমি দখল করে নিয়েছেন স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি।

সরেজমিনে দেখা যায়, নাঘিরপাড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী লিনা অধিকারী তার বই ও খাতার সাথে বাড়তি স্কুল ড্রেস নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। লিনা জানায়, আমার পরিহিত পোশাক জল ও কাঁদায় ভিজে যাওয়ার কারনে বিদ্যালয়ে গিয়ে বাড়তি নেওয়া ড্রেস পরিবর্তন করে ক্লাশে যাবো। নাঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী এনা মিস্ত্রী জানায়, রাস্তা না থাকার কারনে আমরা বর্ষা মৌসুমে স্কুলে যেতে পারিনা।

কৃষক বিশ্বনাথ মন্ডল, গৃহবধু বনলতা মন্ডলসহ একাধিক লোকজন বলেন, সরকার আমাদের সকল সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে। শুধু অল্প একটু রাস্তা নির্মঅন করে দিলেই আমরা খুশি। তাহলে বর্ষাকালেও আমাদের ছেলে মেয়রো স্কুলে যেতে পারকো। এই রাস্তা না থাকায় তাদের বাড়ির ছেলে-মেয়েদের ভাল কোন পরিবারের সাথে বিয়ে পর্যন্ত হচ্ছেনা।

ভূক্তভোগীরা জানান, প্রতিবার ভোট আসলেই চেয়ারম্যান ও মেম্বর প্রার্থীরা আমাদের কাছে ভোট চাইতে এসে নির্বাচিত হয়েই রাস্তা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন। পরে নির্বাচিত হওয়ার পর তারা আর রাস্তার ধারে কাছেও আসেন না।

বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি বলেন, চলতি শুকনো মৌসুমে বোরো ধান কাটার পর জরুরী ভিত্তিতে জনগুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটি নির্মান করে দেওয়া হবে।

(টিবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৪)