বিনোদন ডেস্ক : দেশের খ্যাতিমান সংগীতজ্ঞ ও অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গানের সুরকার শেখ সাদি খান। এবারে বইমেলায় প্রকাশ পাবে তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘শেখ সাদি খান জীবনের রাগ অনুরাগ’। এতে শেখ সাদি খানের বর্ণময় সংগীত জীবনের বিভিন্ন কথা ও আলোকচিত্র স্থান পাচ্ছে।

‘শেখ সাদি খান জীবনের রাগ অনুরাগ’ গ্রন্থটি লিখেছেন মনিরুজ্জামান রোহন। গ্রন্থটি প্রকাশ করবে প্রকাশনা সংস্থা ‘সাহস’। এটি নিয়ে শেখ সাদি খান বলেন, মূলত বইটিতে আমার কথাগুলোই লেখক মনিরুজ্জামান রোহান তুলে ধরেছেন। তিনি বইটির জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি বইটি শিগগিরই বইমেলার ‘সাহস’র স্টল থেকে পাঠকরা সংগ্রহ করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, বইটিতে আমার বিভিন্ন সময়ের প্রকাশিত সাক্ষাৎকার, অনেক স্মরণীয় মুহূর্তের ছবি, আমার বংশপরম্পরা- সব মিলিয়ে আমি কিভাবে এ পর্যন্ত এসেছি তা নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা ও এবং আমাকে যারা পছন্দ করেন তারা জানতে পারবেন।

অন্যদিকে প্রকাশনা সংস্থা ‘সাহস’র প্রকাশর নাজমুল হুদা রতন বলেন, দেশের খ্যাতিমান সংগীতজ্ঞ শেখ সাদি খান সব প্রজন্মের সংগীতপ্রেমীদের কাছে তিনি সমান প্রিয়। তিনি এখনো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ‘শেখ সাদি খান জীবনের রাগ অনুরাগ’ গ্রন্থটিতে শেখ সাদী খানের সংগীতময় জীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটি সংগীতপ্রেমী ও আগামী প্রজন্মের শিল্পীদের সংগীত ভাবনায় অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আমি মনে করছি।

‘শেখ সাদি খান জীবনের রাগ অনুরাগ’ গ্রন্থটি সম্পর্কে শ্রোতানন্দিত গায়ক সৈয়দ আব্দুল হাদী লিখেছেন, স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের যে কয়জন সংগীতকার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে আমাদের সংগীত জগতে নতুন সম্ভাবনার সূচনা করেছিলেন, তাদেরই একজন শেখ সাদী খান। স্বাধীনতার পর যখন পরাধীনতার সকল বদ্ধ জানালাগুলো খুলে গেল, সারা পৃথিবীর মুক্ত বায়ু এসে নব-চেতনার সৃষ্টি করল, সর্বক্ষেত্রেই মুক্ত চিন্তার বিকাশ ঘটল তখন আমাদের সংগীতেও নতুন নতুন ভাবধারা অগ্রসর হতে লাগল। নবীনরা কেউ পাশ্চাত্য সংগীতধারায় প্রভাবিত হয়ে দেশীয় সংগীতধারার সঙ্গে সংমিশ্রণে নতুনত্বের সন্ধান করলেন।

তিনি আরও লেখেন, কেউ কেউ লোকসংগীতকে আধুনিকতার আঙ্গিকে ব্যবহার করে আধুনিক ধারাকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে গেলেন, শেখ সাদী খান তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি উপমহাদেশের ঐতিহত্যবাহী সুরসম্রাট আলাউদ্দীন খাঁ পরিবারের একজন সুযোগ্য উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বভাবতই উচ্চাঙ্গসংগীত বা রাগসঙ্গীতকেই সমসাময়িক রুচির দাবিকে সমুন্নত রেখে স্বতন্ত্র একটি ধারা সৃষ্টি করলেন। একটি ঐতিহ্যবাহী সংগীত পরিবারের সদস্য হিসেবে তাকে কঠিন এবং সুদীর্ঘ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত হতে হয়েছে, এর ছাপ তার প্রতিটি কাজেই ফুটে উঠেছে। সংগীতের বিশুদ্ধতা রক্ষায় তার দায়বদ্ধতা থেকে কখনো তিনি বিচ্যুত হননি।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪)