স্টাফ রিপোর্টর :সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, হুমায়ূন আহমেদসহ দেশের কালজয়ী শিল্পী সাহিত্যিকদের অমর কীর্তিকে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য একটি বিশ্ব সাহিত্য জাদুঘর নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদসহ দেশের শিল্পী-সাহিত্যিকদের স্মৃতি সংরক্ষণে পৃথক জাদুঘর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সমসাময়িক শিল্পী ও সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম এবং তাদের জীবনগাঁথা এতে স্থান পাবে।

মন্ত্রী গতকাল জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে একথা বলেন।

ড. নলীনিকান্ত ভট্টশালি মিলনায়তনে আজ এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদষ্টো ড. গওহর রিজভী।

আসাদুজ্জামান নূর-এর সভাপতিত্বে জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, নাট্যজন আলী জাকের, কথাসাহিত্যিক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, জাদুঘরের মহাপরিচালক জফয়জুল লতিফ চৌধুরী এবং হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।

ড. গওহর রিজভী হুমায়ূন আহমেদকে বাংলা সাহিত্যের একজন রত্ন হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, যতদিন বাংলা ভাষা থাকবে হুমায়ূন আহমেদ বাংলা ভাষ্যভাষীদের কাছে ততদিন অমর হয়ে থাকবেন।

জাদুঘরের পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালা হুমায়ূন আহমেদকে নতুন করে জানার সুযোগ করে দেবে। হুমায়ূন আহমেদ রচিত ৩৩৪টি বই, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে লেখা ৩২টি বই, ৬২টি দুর্লভ আলোকচিত্র, হুমায়ূন আহমেদ অংকিত ৩৪টি পেইন্টিং ও মুরাল, ৫৯টি স্মৃতি নিদর্শন, ২৮টি পত্রিকা এ প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠামালার অংশ হিসেবে আজ হুমায়ূন আহমেদের নাটক শ্রাবণ মেঘের দিন প্রদর্শিত হয়।

এ ছাড়াও প্রতিদিন হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় নাটক ও চলচ্চিত্র বিনা টিকিটে জাদুঘর মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে। ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে। শনিবার থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার বেলা ২.৩০টা থেকে ৭.০০টা পর্যন্ত প্রদর্শনী দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

(ওএস/এসসি/নভেম্বর১৩,২০১৪)