রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : হেফজো পড়ুয়া এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে আটক করে স্থানীয় জনতা পুলিশে সোপর্দ করেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় টায় তাকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি মাদ্রাসা এলাকা থেকে জনতা আটক করে।

আটকৃত মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম সাব্বির হোসেন (২৮)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা গ্রামের মৃত এন্তাজ আলীর ছেলে ও আগরদাঁড়ি মাদ্রাসার হেফজো শিক্ষক।

আগরদাঁড়ি ইউপির সদস্য শহীদুল ইসলাম জানান, পূর্ব আগরদাঁড়ি গ্রামের এক ইটভাটা শ্রমিকের ছেলে (১০) আগরদাঁড়ি মাদ্রাসার হেফজোখানায় পড়তো। কয়েক গত ১৫ দিনে শিক্ষক সাব্বির হোসেন তাকে কৌশলে মাদ্রাসার মধ্যে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করে। যন্ত্রণাকাতর ওই ছাত্রকে গ্রাম ডাক্তার ইয়ার আলী চিকিৎসা দেন। গত শনিবার ওই ছাত্রকে আবারো বলাৎকার করা হলে বিষয়টি সে বাড়িতে যেয়ে মাকে জানায়। মা ঢাকার ইটভ্টাায় কর্মরত স্বামীকে জানিয়ে তাকে (ইউপি সদস্য) জানাতে বলে। তিনি বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করে ওই শিক্ষককে আটক করে সোমবার সন্ধ্যায় সদর থানায় খবর দেন। একপর্যায়ে রাত ১১টায় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় শিক্ষক সাব্বির হোসেনকে।

ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম আরো জানান, সাব্বির হোসেনের তিন মাস বয়স থাকাকালিন তার বাবা দহাকুলা গ্রামের এন্তাজ আলী ওয়াজ মাহফিল শুনে বাড়ি ফেরার পথে মারা যান। এরপর মা মোহসেনা খাতুন তাকে নিয়ে নানার বাড়ি শিয়ালডাঙা গ্রামের জালিয়ান সরদারের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে থেকে ছেলের পড়াশুনা করান মা। একপর্যায়ে তেঁতুলডাঙা গ্রামে জমি কিনে বাড়ি করেন। কয়েক মাস আগে সাব্বির আগরদাঁড়ি মাদ্রাসার ভিতর মসজিদের ভারপ্রাপ্ত মোয়াজ্জেম ছিল। সম্প্রতি তাকে ওই মাদ্রাসার হেফজোখানার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক সাব্বীর হোসেন তার দোষ স্বীকারে করেই বলেন, ভুল করে ফেলেছি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম জানান, বলাৎকারের অভিযোগে সাব্বির হোসেনকে রাত ১১টায় আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(আরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৪)