হাসিনাকে হত্যা করতে সাজিদ বাহিনীর ৩০০সদস্য বাংলাদেশে
নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ‘গোকুলে’ বাড়ছিল জামায়াত জঙ্গি সাজিদ-বাহিনী৷ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান-সহ তিন জেলায় ঘাঁটি করে ফিঁদায়ে বাহিনী গড়ে তুলছিল সাজিদ৷
দমদম বিমান বন্দরের কাছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া সাজিদ-বাহিনীর উদ্দেশ্য ধীরে খোলস ছাড়ছে৷
এনআইআইয়ের বরাত দিয়ে ভারতের একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম কোলকাতা টুয়েন্টিফোরের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআইআইয়ের জেরার ইতিমধ্যেই সাজিদ কিছু হলেও মুখ খুলেছে৷
আর তাতেই স্পষ্ট হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনাকে হত্যার জন্যই এই রাজ্যে সংগঠন বাড়াচ্ছিল সাজিদ বাহিনী৷
ইতিমধ্যে সাজিদ মুর্শিদাবাদ, বর্ধমানের ঘাঁটিতে প্রশিক্ষিত জঙ্গিকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে৷
সুত্রের খবর, শুধুমাত্র হাসিনাকে হত্যা করতে সাজিদ বাংলাদেশ জুড়ে ৩০০ ফিঁদায়ে সদস্যকে ছড়িয়ে দিয়েছে৷ সাপ্লাই করা হয়েছে বিস্ফোরকও৷
বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার হওয়া মোনায়েম ওরফে মনোয়ার হোসেনের জেরায় ফাঁস হয়ে গেল বর্ধমানের খাগরাগড় বিস্ফোরণের উদ্দেশ্য৷ গোয়েন্দাদের জেরায় মনোয়ারের স্বীকারোক্তি, তার মাধ্যমেই বাংলাদশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর হামলা এবং বাংলাদেশে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনার নির্দেশ পাঠিয়ে যাচ্ছিল বর্ধমান বিস্ফোরণের মূলচক্রী সাজিদ। এই চক্রান্ত সফল করতেই সাজিদ বাংলাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে প্রায় ৩০০ জনের জঙ্গি দল। এই জঙ্গিদের অধিকাংশকেই এই রাজ্যের ঘাঁটিতে অস্ত্র, গ্রেনেড হামলার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে৷ সাজিদকে জেরা করে এই তথ্য পেয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ।
একটি বিশেষ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিস্ফোরণের পর সাজিদ মোনায়েমকে ফোন করে বলেছিল, ‘গোলমাল হয়ে গিয়েছে। এখন কিছুদিন লুকিয়ে পড়তে হবে। আত্মগোপন করে থাকা ডেরা থেকেই নাশকতার ছক কষতে হবে। এভাবেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন সাজিদ।
কয়েকদিন আগেই দমদম বিমানবন্দরের কাছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের হাতে ধরা পরার পর সাজিদ বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, সেই বোরহান শেখ। এনআইএ সূত্রে খবর, এটা আসলে তাঁর ভাই বোরহানকে বাঁচানোর একটা পরিকল্পনা ছিল। বোরহান মালেশিয়া প্রবাসী বলা হলেও, সেও এই জঙ্গি চক্রে সক্রিয় ভাবে জড়িত৷ সাজিদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর বোরহান যাতে অসমাপ্ত পরিকল্পনার কাজ চালিয়ে যেতে পারে, তাই সাজিদ দাবি করছিল বোরহান নাম কেউ নেই। বর্ধমানের বিস্ফোরণের ঘটনার অন্যতম আর এক চক্রী বোরহানকেও খুঁজছে এন আই এ। তাঁকে ধরতে লক্ষ পুরস্কার ঘোষণা করা আছে।
অন্যদিকে, গোয়েন্দা সুত্রে খবর, তারা সাজিদকে জেরায় জানতে পেরেছে ২০১২ সালে ভারতে আসার পর পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ জুড়ে প্রায় ৩০০ জনকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে নাশকতার উদ্দেশ্যে রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া-সহ আরও কয়েকটি জেলায় তাদের ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বাংলাদেশের আর কোথায় কোথায় জঙ্গিরা ছড়িয়ে রয়েছে জানতে সাজিদকে জেরা করছেন এন আই এ এবং ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। জানার চেষ্টা চলছে সম্ভাব্য কোন পথে কিভাবে নাশকতা ঘটানো হতে পারে।
>>বাংলাদেশের মাসুদ রানাই সাজিদ !
(ওএস/অ/নভেম্বর ১৩, ২০১৪)