ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে প্রবাসীর ৬৩ লাখ টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা থেকে আসা তদন্ত দলের দুই সদস্য দিনব্যাপী ব্যাংকটির ঝিনাইদহ শাখায় কাগজপত্র যাচাই বাছাই করেন। ব্যাংক এশিয়ার ঝিনাইদহ শাখার ম্যানেজার সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চত করে জানান, ঢাকার তদন্ত দল নিবিড় ভাবে বিষয়টি তদন্ত করছেন। আশা করছি আজকের মধ্যেই প্রতিবেদন চুড়ান্ত হবে। 

তিনি আরও জানান, তদন্ত দল ভুক্তভোগী কোটচাঁদপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রোকনুজ্জামান রোকন, এজেন্ট ব্যাংকের দায়িত্বে থাকা দুই ভাই মনিরুল ইসলাম ও রাজিবুল কবির রাজিবের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এদিকে ব্যাংক এশিয়ার একটি সূত্র জানায়, তদন্ত দলের কাছে সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের দায়িত্বে থাকা রাজিবুল কবির রাজিব আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গ্রাহকের টাকা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তুলে নিয়েছেন।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালে ব্যাংক এশিয়ার আউটলেটের দায়িত্বে থাকা মনিরুল ইসলাম ব্যাংকের দায়িত্বভার তার আপন ভাই ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ সদস্য রাজিবুল কবির রাজিবের কাছে দেন। দায়িত্ব পেয়ে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে রাজিব প্রবাসে থাকা রোকনুজ্জামান রোকনের মাসিক মুনাফা সঞ্চায়ী হিসাব দু’টি ভেঙ্গে ফেলে সব টাকা ১০৮৩৪৪৪০০৬১০৬ নাম্বার হিসেবে নিয়ে আসেন। এখান থেকে প্রতারক রাজিব নিজের দুটি হিসাব নম্বরে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ট্রান্সফার করেন। বাকী টাকা আরো ২ থেকে ৩টি গ্রাহকের হিসাব নম্বরে নিয়ে আসেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ব্যাংক এশিয়ার প্রধান কার্যালয় নড়েচড়ে বসে। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার থেকে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেন।

ব্যাংক এশিয়ার ঝিনাইদহ শাখার ম্যানেজার সাইফুর রহমান বলেন, জালিয়াতির বিষয়টি আমাদের কাছে এখন পরিস্কার। তদন্ত দল ঢাকা ফিরে টাকা উদ্ধারে পদক্ষেপ নিবেন বলেও তিনি জানান।

(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৪)