মোঃ শাজনুস শরীফ, বরগুনা : অসুস্থ্য এক নারীকে মারধর ও খুনের হুমকির অভিযোগে অভিযুক্ত বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত অফিস সহায়ক মোঃ মহসিনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। 

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ওই ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মোহাঃ শাহ জালাল লিখিত বক্তব্যে বলেন- মোঃ মহসিন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে কুক/মশালচী পদে চাকুরী ১৬/০৭/২০১১ইং যোগদান করে। মহসিনের চাকুরীতে যোগদানের পর থেকে এলাকায় অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছে। অন্যের জমিজমা জোর পূর্বক দখল করা, অন্যের জমি ভুল বুঝিয়ে লিখিয়ে নেয়াসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইতিপূর্বে একাধিকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়া শালিশ মিমাংশা হইলেও তিনি স্থানীয় কোন গণ্যমান্য শালিশ ব্যক্তিদের সিদ্ধান্ত মানেন না। গত ০৩/০২/২০২৪ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ২.০০ ঘটিকার সময় আমার বসত ঘরের সামনে উঠানে মহসিন তার সহযোগীরা জমির পর্চা নিয়া ঝগড়ার সৃষ্টি করিয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমার স্ত্রী গালিগালাজের কারণ জানতে চাইলে মহসিন ও তার সহযোগীরা আমার অসুস্থ্য স্ত্রীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমার স্ত্রী একাধিকবার ব্রেইন স্টক করে বর্তমানে আল্লাহর রহমতে বেঁচে আছে। আমার স্ত্রীকে মারধর করায় আমিও ঘটনাস্থলে গেলে মহসিন ও তার সহযোগীরা আমার উপরও হামলা চালায়। মহসিন আমার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলে। এই ঘটনায় আমি বরগুনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। যাহা তদন্তাধীন অবস্থায় আছে।

তিনি আরও বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে অন্য এক পক্ষের সাথে মহসিনের শালিশ বৈঠকে আমি সত্য ঘটনা তুলে ধরার কারণে মহসিন আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের উপর ক্ষিপ্ত হয়েই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যাহা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

প্রসঙ্গত, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ০৩ ফেব্রুয়ারী দুপুরে মাইঠা সড়কের মোহাঃ শাহ জালালের অসুস্থ্য স্ত্রীকে মারধর করাসহ ওই পরিবারকে খুনের হুমকি দিয়েছেন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের অফিস সহায়ক মোঃ মহসিন। এমন অভিযোগে বরগুনা সদর থানায় এসে সাধারণ ডায়েরী করেছেন শাহ জালালের পরিবার। বিষয়টি বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুর রহমান নিশ্চিত করে বলেন, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এসএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪)