বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : এখন থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে (ভেকু) যাদের ফসলি জমির মাটি কেটে জমি নষ্ট করা হবে, অনুমতিবিহীন মাটি কাটার অপরাধে ভেকুর মালিককে গ্রেপ্তারের আগে সেই জমির মালিককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সবার আগে জমির মিলিকের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য জননেতা ফয়জুর রহমান বাদল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ডাক বাংলোতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে নবীনগরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাংসদ বাদল নবীনগরের ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীমকে কে এ কঠোর নির্দেশনা দেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, ইদানিং নবীনগর উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই ফসলি জমির মাটি কেটে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করার যেন এক মহোৎসব চলছে। এ প্রেক্ষিতে অনুমতিবিহীন মাটি কাটার এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধের দাবি করে আসছিলো ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, ভুক্তভোগীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে আসলেও এর তেমন কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা।
এ অবস্থায় আজ দুপুরে স্থানীয় ডাকবাংলো প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে সাংসদের দৃষ্টি কাড়লে, এমপি ফয়জুর রহমান বাদল প্রশাসনকে উপরোক্ত কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।

সাংসদ বাদল কঠোর ভাষায় বলেন, 'ফসলি জমির মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই আইনের আওতায় এনে নিয়মিত মামলা দিতে হবে। এ বিষয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নিতে সাংবাদিকদের সামনেই ইউএনও কে কঠোরভাবে নির্দেশ দেন ফয়জুর রহমেন বাদল এমপি।’

জবাবে ইউএন তানভীর ফরহাদ শামীম সাংসদের এ নির্দেশ যথাযথভাবে মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন সাংসদকে।

এসময় সাংসদের পাশে অন্যান্যের মধ্যে উপন্থিত ছিলেন এলজিইডি'র চট্টগ্রাম বিভাগীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি প্রকৌশলী আমিনুর রশীদ, নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব শযকর দাস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহান, নবীনগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন আহমেদ নসুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

(জিডি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪)