ইন্দ্রজিৎ সাহা, কালিয়াকৈর : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ৫ বছরে আইসিটি সেক্টর থেকে রপ্তানি আয় ৫বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে।সেই সাথে নতুন ১০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান ও এক বিলিয়ন ডলার নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি পরিদর্শনে এসে সোলারিজ ভবনে হাই-টেক সিটিতে বিনিয়োগকারীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, ইতিমধ্যেই হাই-টেক সিটির ভিতরে ওয়ানস্টপ সেবা দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।মতবিনিময় সভায় বিনিয়োগকারীদের সুপারিশ ও মতামত বাস্তবায়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন জুনায়েদ আহমেদ পলক।

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরুল্লাহ'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ- সামসুল আরেফিন।

মতবিনিময় সভায় ৮২টি প্রতিষ্ঠানের তিনশতাধিক বিনিয়োগকারী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আইসিটি সচিব বিনোয়োগকারীদের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণাগা নির্মাণের অনুরোধ জানান।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী হাই-টেক পার্কের স্মার্ট ল্যাপটপ অ্যাসেম্বলি, ড্যাফোডিল কম্পিউটার অ্যাসেম্বলি, ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রি, হুন্দাই গাড়ি নির্মাণ কারখানা,বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং সেখানকার কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

৩৭০ একর জমিতে গড়ে ওঠা দেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ হাই-টেক পার্কও বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি।এই পার্কটিতে বর্তমানে ৮২টি প্রতিষ্ঠানের নামে জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এখানে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্বখ্যাত হুন্দাই কোম্পানি দেশের সর্বপ্রথম হাইব্রিড গাড়ি নির্মাণে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। অবকাঠামো,জমি স্পেস বাবদ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে প্রতিমাসে সরকারের ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা ভাড়া বাবদ আয় হচ্ছে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক আরও জানান, নিকট ভবিষ্যতে ডাটা সেন্টার ভিত্তিক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে ৪০০০ কোটি টাকা অতিক্রম করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এবং পুরোদমে হাই-টেক সিটি চালু হলে ৪০থেকে ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।তিনি বলেন,পর্যায়ক্রমে এখানে রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, সিনেপ্লেক্স, শপিংমল, হোটেল, প্রশাসনিক এলাকা, সার্ভিস এলাকা, হাসপাতাল, মসজিদ,আবাসন, বৈদ্যুতিক গ্রিড সাবস্টেশন, স্কুল, লেক, আভ্যন্তরীণ রাস্তা, বিনোদন কেন্দ্র,পুকুর, বনায়ন, ই ওয়েস্ট প্লান্ট ইত্যাদি নির্মাণের প্রকল্প চলছে। এখানে ইতোমধ্যে নোকিয়া, শাওমি, সনি ব্র্যান্ড তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে।

(আইএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪)