রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : মোবাইল ফোনে হুমকির দেড় ঘণ্টা পর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাঁন্দুলিয়া গ্রামের নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী যুথিকা মিস্ত্রীকে (১৫)। অপহরণের ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা হয়েছে। অপহৃত স্কুল ছাত্রীর মা বাদি হয়ে গত রবিবার অপহরণকারি ও অপহরণে সহযোগতিার অভিযোগে চারজনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামীরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের অলিউল্লাহ সরদারের ছেলে আশাশুনি সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সজীব আহম্মেদ শুভ , তার বাবা অলিউল্লাহ সরদারম মা তাহমিনা খাতুন ও সজীব আহম্মেদ এর চাচা বড়দল গ্রামের রবিউল ইসলাম।

কালিগঞ্জ উপজেলার চাঁন্দুলিয়া গ্রামের রমেশ চন্দ্র মিস্ত্রীর স্ত্রী সুচিত্রা মিস্ত্রীর দায়েরকৃত এজাহার থেকে জানা যায়, তার মেয়ে যুথিকা মিস্ত্রী আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। শ্রীউলা গ্রামের অলিউল্লাহ সরদারের ছেলে আশাশুনি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র সজীব আহম্মেদ শুভ তাকে স্কুলে যাওয়া ও আসার পথে উত্যক্ত করতো। বিষয়টি শুভর বাবা অলিউল্লাহ, মা তাহমিনা খাতুন, চাচা রবিউল ইসলাম, বোন রুপা খাতুনকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। একপর্যায়ে গত ১৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে সাতটার দিকে তাকে (বীথিকা) ০১৪০২-২৮১২০৪ নং মুঠোফোন থেকে হুমকি দিয়ে যুথিকাকে এক সপ্তাহের মধ্যে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় শ্রীউলা গ্রামের সজীব আহম্মেদ শুভ। বাবা অসুস্থ থাকায় বিষয়টি তিনি তার মাকে জানান। এর দেড় ঘণ্টা পরপরই টিভি দেখে বাড়ি ফেরার পথে কাকা ভদ্রকান্ত মিস্ত্রীর বাড়ির সামনে ইট সোলিং এর রাস্তা থেকে যুথিকাকে বাবা ও মায়ের সম্মতিতে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে তিন- চারটি মোটর সাইকেলে এসে অপহরণ করে সজীব আহম্মেদ শুভ।

চাঁন্দুলিয়া গ্রামের সুচিত্রা মিস্ত্রী জানান, মেয়েকে হুমকি দিয়ে অপহরণ করা হয়েছে বুঝতে পেরে ১৪ জানুয়ারি তিনি সজীব আহম্মেদ শুভসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি এজাহার দেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের পরামর্শে ১৬ জানুয়ারি তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। দীর্ঘ চার সপ্তাহ কেটে গেলেও তার মেয়ে উদ্ধার না হওয়ায় তিনি সাতক্ষীরার কয়েকজন সাংবাদিককে অবহিত করেন। একপর্যায়ে গত রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর ৭/৩০ ধারায় এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা নকিব আহম্মেদ পান্নু জানান যে, মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার ও ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

(আরকে/এএস/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪)