স্টাফ রিপোর্টার : জরিপে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৫ থেকে ২০ লাখ মানুষ মৃগী রোগে আক্রান্ত। সঠিক চিকিৎসা ও নিয়মিত ওষুধ সেবন না করায় এ রোগে দীর্ঘমেয়াদি অক্ষমতার হার বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত চিকিৎসা নিলে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃগী রোগীর খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে, ১০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেও রোগটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। কারণ, দেশে এ রোগে সার্জারির ব্যবস্থা সীমিত।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব মৃগীরোগ দিবস’। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘এপিলেপসির (মৃগীরোগ) সঙ্গে চলা ও আমার অর্জনসমূহ’। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সোমবার এ রোগের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি পালন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু বলেছেন, ৭০-৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃগীরোগ শুরু হয় শিশু বয়সে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এ রোগ বেশি হয়। উন্নত দেশগুলোতে খুব কম।

তিনি আরও বলেন, জন্মের সময় নানা ধরনের সমস্যার কারণে মূলত মৃগীরোগ হয়। এর মধ্যে যে শিশু কান্না করে না বা কান্না করতে দেরি হয়, অক্সিজেনের অভাব হওয়া, ব্রেইনে আঘাত পাওয়া, জন্মের সময় বেশি আকারে জন্ডিস অথবা জন্মের সময় খিঁচুনি—এসব শিশুর মৃগীরোগ দেখা দেয়।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪)