বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : 'বাজার বাচাঁও,  নবীনগর বাচাঁও' এ শ্লোগানে আজ প্রকম্পিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ। পরে নবীনগর বাজারের কয়েক'শ বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়।

এসময় নবীনগরের সংসদ সদস্য জননেতা ফয়জুর রহমান বাদলের পক্ষ থেকেও তাঁর 'প্রেস সচিব' আমীর মোহাম্মদ হোসাইন একটি আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) জেলা প্রশাসকের হাতে পৌঁছে দেন।

জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান এসময় দুটো পত্র আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পত্র দুটি পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন।

পরে সাংসদের ডিও লেটারের আরেকটি কপি সাংসদের 'প্রেস সচিব' জেলার সড়ক ভবনে গিয়ে সড়ক ও জনপদের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদের কাছে পৌঁছে দেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, ৪৩২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন প্রায় ২০ কি. মিটার দীর্ঘ নবীনগর-আশুগঞ্জ হাইওয়ে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের (জেড ১২০৬) আওতায় এলাকাবাসির বহুল প্রত্যাশিত এ সড়কটির নির্মাণ কাজ গত কয়েক বছর ধরে খুবই ধীরগতিতে চলছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, সড়কটির নবীনগর অংশের করিম শাহ্ মাজার থেকে নবীনগর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় এক কি. মিটার রাস্তা প্রকল্পের নকসা অনুযায়ী ৬০ ফুট প্রশস্তে নির্মাণ করা হলে, কয়েকশ বছরের পুরনো প্রসিদ্ধ ও প্রাচীন বাজার খ্যাত নবীনগর সদর বাজারের মনু বাবুর ঘাটলা থেকে বড় বাজার হয়ে লঞ্চঘাট সড়ক, ডাক বাংলো সড়ক, হাইস্কল সড়কে থাকা কয়েকশ দোকান পাট ধ্বংস হয়ে যাবে। এতে শত শত ব্যবসায়ী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং পুরনো সদর বাজারটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

এ অবস্থায় বাজারটি রক্ষার দাবিতে কয়েকশ ব্যবসায়ী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আজ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি ও সাংসদের পক্ষ থেকে ডিও লেটার প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে নবীনগর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মনির হোসেন বলেন,'রাস্তাও হতে হবে, বাজারও রক্ষা করতে হবে। সেজন্য আমরা বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা সড়কটির এলাইনমেন্ট পরিবর্তনের দাবীতে আজ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।'

জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন,'স্মারকলিপি ও সাংসদের ডিও লেটার পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

নবীনগরের সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদল বলেন,'প্রসিদ্ধ এ পুরনো বাজারটি বাঁচিয়ে কিভাবে অন্য দিক দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা যায়, সেজন্য আমি মন্ত্রণালয়ে একটি ডিও দিয়েছি। আশা করি, রেজাল্ট পাবো।'

(জিডি/এএস/১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪)