কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : শতশত মানুষ  ঘেরাও করে পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গ্রামবাসীর হামলায় কনষ্টেবল মোশারফ ও তাকে বহনকারী মোটরসাইকেল চালক জাফর আহত হয়েছে। তাদের কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য নজরুল, মাসুম গাজী, সৌরভ বিশ্বাস সহ ২৫ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই কলাপাড়া থানা পুলিশ ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম , আওয়ামী লীগ নেতা তারিক খান ও ইব্রাহীম প্যাদাকে গ্রেফতার করেছে।

মামলায় কলাপাড়া থানার এসআই উল্লেখ করেন, ওয়ারেন্টের আসামি সোবাহান সরদারকে বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে থানায় ফেরার পথে মুক্তিযোদ্ধা বাজারের আয়রন ব্রিজ পার হচ্ছিলেন। এ সময় নজরুল মেম্বারের নেতৃত্বে শতাধিক মানুষ সশস্ত্র অবস্থায় হামলা করে গ্রেফতার করা আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। মারধর করা হয় হোন্ডাচালক জাফর ও পুলিশ কনেস্টবল মোশাররফকে।


ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, আসামি সোবাহান সরদারের জামাই আনোয়ার হোসেন কয়েকদিন আগে মারা যায়। বুধবার দুপুরে তার চেহলাম চলছিল। চেহলাম অনুষ্ঠান থেকে সোবাহানকে আটক করা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। কিন্তু পুলিশ আসামী ছেড়ে দিয়ে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্থানীয় সৌরভ বিশ্বাস ও বাদলের নেতৃত্বে পুলিশের সামনে মোটরসাইকেল চালক জাফর কে তারা মারধর করতে দেখেছেন। তবে পুলিশের উপর হামলা হয়েছে কিনা জানেন না। এ ঘটনায় গোটা লালুয়া ইউনিয়ন জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। পুলিশের গ্রেফতার আতংকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পুরুষরা অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান জানান, গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকা মেরিন মামলার একজন আসামীকে ধরতে গেলে এলাকার লোকজন এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটায়। আমরা ছিনতাই হওয়া আসামী এবং আসামী ছিনতাই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। কোন নিরীহ লোকজনকে হয়রাণী করার সুযোগ নেই।

(এমকেআর/এএস/নভেম্বর ১৩, ২০১৪)