লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলায় ফারুক আহমেদ (২৬) নামে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সকালে ওই ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সদর দক্ষিন উপজেলার খিলপাড়া গ্রামে।

জানা যায়, সদর দক্ষিন উপজেলার তাজের ভোঁমরা গ্রামের মৃত আছমত উল্যাহর ছেলে ফারুক আহমেদ বুধবার রাতে বাড়ির পাশে মগুয়া বাজার থেকে ফলমূল কিনে সিএনজি যোগে তার শ্বশুরবাড়ি পাশ্ববর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা এলাকার গান্ধাচি গ্রামের দিকে যায়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তার পাশ্ববর্তী খিলপাড়া গ্রামের একটি নির্জন মাঠে ফারুকের গলাকাটা লাশ দেখতে পায় এলাকার লোকজন। খবর পেয়ে ফারুকের আত্মীয় স্বজন ও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে অজ্ঞাতস্থানে ফারুককে দুর্বৃত্তরা পেটে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করে ও গলা কেটে হত্যার পর খিলপাড়া গ্রামের একটি নির্জন মাঠে লাশ ফেলে রাখে। ওইস্থানে লাশের পাশে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। দুর্বৃত্তরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ফারুককে হত্যা করে সুকৌশলে ওই নির্জন মাঠে রাতের আঁধারে লাশ ফেলে রেখে যায় বলে পুলিশ ধারনা করছে। ফারুকের গলাকাটা লাশ দেখে তার বৃদ্ধা মা খোদেজা বেগম অনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

এ দিকে নিহতের আত্মীয় স্বজন জানায়, গত ৫ বছর আগে পাশ্ববর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা এলাকার গান্ধাচি গ্রামের মরিয়ম বেগমের সাথে ফারুকের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দাম্পত্য কলহের কারণে ফারুকের স্ত্রী পাঁচ মাস আগে বাবার বাড়ি চলে যায়। দাম্পত্য কলহের জেরধরে গত কয়েক মাস আগে ফারুকের শ্বশুর বাড়ীর লোকজন তাঁকে মারধর করেছে। ওই ঘটনা নিয়ে ফারুক হত্যাকাণ্ডে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সম্পৃক্তা রয়েছে বলে নিহতের আত্মীয় স্বজনরা দাবি করছেন। ওই ঘটনা শুনার পর ফারুকের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন না আসায় এ হত্যাকাণ্ডের সাথে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জড়িত থাকার ইংগিত করছেন এলাকাবাসী।

সদর দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রশান্ত কুমার পাল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(সিএস/এএস/নভেম্বর ১৩, ২০১৪)