রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : মোবাইল ফোনে হুমকির দেড় ঘণ্টা পর অপহৃত নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে আজ শনিবার সকালে ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মূল অপহরণকারি সজীব আহম্মেদ শুভ পালিয়ে গেলেও তার মা তহমিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া ভিকটিম সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাঁন্দুলিয়া গ্রামের রমেশ মিস্ত্রীর মেয়ে ও শ্রীউলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। গ্রেপ্তারকৃত তহমিনা খাতুন আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের অলিউল্লাহ সরদারের স্ত্রী।

চাঁন্দুলিয়া গ্রামের সুচিত্রা মিস্ত্রী জানান, বড় মেয়ে বীথিকাকে গত ১৩ জানুয়ারি রাত ৭টার দিকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে দেড় ঘণ্টা পর তার কাকা ভদ্রকান্ত মিস্ত্রীর বাড়ির সামনে ইট সোলিং এর রাস্তা থেকে ছোট মেয়ে যুথিকাকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ১৪ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর ৭/৩০ ধারায় এজাহার দায়ের করেন। যাহা গত ১১ ফেব্রুয়ারি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলায় অপহরণকারি শ্রীউলা গ্রামের অলিউল্লাহ সরদারের ছেলে আশাশুনি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র সজিব আহম্মেদ শুভ, অপহরণে সহযোগতাকারি তার বাবা অলিউল্লাহ সরদার, মা তহমিনা খাতুন ও চাচা রবিউল ইসলামকে আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক নকীব আহম্মেদ পান্নু তাকে শনিবার সকাল ১০টার দিকে তাকে জানান, যে তার মেয়েকে শনিবার সকালে ঢাকার একটি স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আসামী তহমিনা খাতুনকে। তাকে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে থানায় আসতে বলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে শনিবার বিকেল সোয়া চারটায় মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নকীব আহম্মেদ পান্নু উদ্ধারকৃত ভিকটিম ও আসামী তহমিনাকে নিয়ে তিনি যমুনা সেতু পার হয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, থানায় ফেরার পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে।

(আরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪)