স্পোর্টস ডেস্ক : জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ব্যস্ততা কমেনি এতটুকুও। তবুও কেমন একটা অস্থির ভাব সবার মধ্যে।

বিপিএলের বিরতির দিনে অনুশীলনে এসেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু বলের আঘাত লেগে তাকে যেতে হয়েছে হাসপাতালে।

ম্যাথু ফোর্ডের খেলা শট তার মাথায় লাগলে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মোস্তাফিজ। তখন তিনি লিটন দাসকে নেটে বল করে বোলিং মার্কে ফিরছিলেন। মাথায় আঘাত লাগার পর মোস্তাফিজকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এখন তার কী অবস্থা?

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ফিজিও জাহিদুল ইসলাম সজল চট্টগ্রামে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘লেসারেশন হয়েছিল লেফট সাইডে। আমরা উনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ইমার্জেন্সিতে টেক কেয়ার করি। এরপর সিটি স্ক্যান সম্পন্ন করি। সিটি স্ক্যানে কোনো ইন্টারনাল ব্লিডিং পাওয়া যায়নি। যা যা ইনজুরি ছিল, সেটি এক্সটারনাল ব্লিডিং ছিল। ’

‘এরপর তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং মাথার চারদিকে সেইভ করে সার্জিকাল ইনসিশন দেওয়া হয়েছে। একজন নিউরোসার্জন উনাকে দেখেছেন, এবং সার্জিকাল ইনসিশন শেষে উনি পর্যবেক্ষণ রুমে আছেন। ’

মোস্তাফিজের মাথায় মোট পাঁচটি সেলাই লেগেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তাকে আপাতত রাখা হয়েছে দুই ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে। তবে আপাতত মোস্তাফিজকে নিয়ে স্বস্তির খবরই দিচ্ছেন কুমিল্লার চিকিৎসক সজল। মোস্তাফিজ কথাও বলতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

কুমিল্লার এই চিকিৎসক বলেন, ‘যতটুকু আমরা এখন পর্যন্ত জানি, উনি কোনো ধরনের শঙ্কার ভেতরে নেই। উনি কথা বলতে পারছেন, উনার নিজের নাম উনি বলতে পারছেন। সকল ব্যাপারে কমিউনিকেশন করতে পারছেন। বই-খাতায় যেভাবে বলা আছে কনকাশন হলে কি প্রটোকল; উনি এখনও বড় রকমের কনকাশনে আক্রান্ত হননি। ’

মোস্তাফিজকে ঢাকায় নেওয়ার পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে সজল বলেন, ‘এখানে আমরা নিউরোসার্জনকে যেহেতু পেয়েছি। সিটি স্ক্যান যেহেতু নরমাল আছে। ঢাকাতে আমরা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর সঙ্গে আপডেট রাখছি। সকল পেপার আমরা ঢাকাতে ফরোয়ার্ড করেছি। ডাক্তার দেবাশীষ উনার সিটি স্ক্যান পেপারগুলো দেখেছেন। আমরা এখনও ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে যাইনি। ’

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪)