নবী নেওয়াজ, পাবনা : পাবনা সদরে বিভিন্ন  ফসলি জমি ও পুকুর সংস্কারের নামে মাটি কাটার হিড়িক পড়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই একটি অসাধু চক্র প্রকাশ্যে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে। কুত্তা গাড়ি, ট্রলি ও ট্রাকে মাটি নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কে পড়ছে মাটি। এক্সকাভেটর (ভেকু) দিয়ে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করা হলেও এ বিষয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। এতে নষ্ট হচ্ছে স্থানীয় সড়ক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার - চরঘোষপুর, চুলকানির হাট, রানীনগর ৯ নং ওয়ার্ড গ্রামের ফসলের মাঠ থেকে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন ।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, কিছু মাটি ব্যবসায়ী ফসলি জমির মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। মাটি বহনকারী কুত্তা গাড়ি, ট্রলি, ট্রাক পাবনা সদর বিভিন্ন রাস্তায় দ্রুত গতিতে চলাচল করছে। আকারভেদে প্রতি গাড়ি মাটি ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেক জায়গায় সড়কের অংশ কেটে গাড়ি ওঠানামার ব্যবস্থা করায় সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পাশাপাশি এসব যানবাহনে মাটি বহন করার সময় ধুলাবালিতে পথে চলাচলকারী মানুষের নানা সমস্যা হচ্ছে। মানুষ শ্বাসকষ্টসহ বায়ুদূষণজনিত অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

মাটি নিয়ে যাওয়ার কারণে আশপাশের ফসলি জমি ও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানানোর পর তারা পুকুর খনন বন্ধ করে দিলেও, কিছুদিন পর মাটি ব্যবসায়ীরা আবার মাটি কাটা শুরু করেন। এভাবেই চলছে ফসলি জমিতে পুকুর খনন আর মাটি বিক্রির উৎসব। অনেকে আবার দিনে মাটি না কেটে রাতের আঁধারে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। কিন্তু প্রশাসনের নজরদারিতেও বন্ধ হচ্ছে না মাটি কাটা ও বিক্রির ব্যবসা।

পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, “মাটি কাটার তো অনুমতি নেই। আমরা অভিযোগ পেলে অভিযান পরিচালনা করি। অপরাধীকে পাওয়া গেলে শাস্তি ও দেওয়া হচ্ছে । পাবনা জেলা প্রসাশন ও পাবনা সদর উপজেলা প্রসাশন এ বিষয়ে সোচ্ছার ।

(এনএন/এএস/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪)