রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : পিঠা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা কমই দেখা যায়। শহরের মত আস্তে আস্তে গ্রামেও আগের মত পিঠার ধুম এখন আর চোখে পড়ে না। গ্রাম কিংবা শহর যেখানকার কথাই বলি না কেন এক সময় শীত আসলেই জামাইদের শ্বশুরবাড়ী ডাক পড়তো পিঠা খাওয়ার। এখন সেটিও আর চোখে পড়ে না, তবে গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আজকাল শহরে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে পিঠা উৎসবের আয়োজন করতে দেখা যায়। তবে এবার ব্যতিক্রমী পিঠা উৎসবের আয়োজন ছিল গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা উপজেলার পল্লী এলকার বরিশাল ইউনিয়নের দুবলাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলে আয়োজন করেছিল পিঠা উৎসবের।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী পিঠা উৎসব হয়েছে ওই বিদ্যালয়ে। পিঠা উৎসবে নানা পিঠার সমাহার নিয়ে হাজির হন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা। এর মধ্যে ছিল নানা রকম ভাপা, মুকশুলি, মসুর পাকন, চিকেন পুলি, নারিকেল, দুধ পুলি, নারিকেল পুলি, গোলাপ ফুল পিঠা, নারিকেল বিস্কুট পিঠা, তেল পিঠা, ডিম সুন্দরী, পাটিসাপটা, দুধসাগর এবং চিতই পিঠা।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, বাড়ীতে পিঠা তৈরি করলে খেয়ে যতটা মজা পাই তার চেয়ে বেশি মজা হচ্ছে এখানে সবাই মিলে একসাথে পিঠা খেতে পারছি।

প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী সেলিম বলেন, পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেক সাড়া পেয়েছি। প্রতি বছর এই ধারা অব্যাহত রাখার কথাও জানান তিনি।

এ সময় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান, ফিরোজ কবীর, বঙ্গবন্ধু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (অবঃ) রেজাউল করিম বাবলু, এসএমসির সদস্য ও ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম রবিসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

(আরআই/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪)