কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ সাহিত্যের প্রাণ পুরুষ মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন আপাদমস্তক অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সাহিত্যিক। অনেকেই তাকে শুধুমাত্র মুসলিম সাহিত্যিক বলে থাকেন। যারা একথা বলেন তারা নিজেরাই মীর মশাররফ সম্পর্কে সম্পুর্ণ না জেনে একথা বলে থাকেন।

যদি আমরা নতুন করে পরিচয় করাতে চাই তাহলে এটা হবে ধৃষ্টতা। সেক্সপিয়ার হ্যামলেট এবং মীর মশাররফ হোসেন বিষাদসিন্ধু লিখে বিখ্যাত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ৭ টায় তিন দিনব্যাপি সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৬৭তম জন্মোৎসবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্বে বক্তরা এ কথা বলেন।

কুষ্টিয়ার কুমারখালির লাহিনী পাড়ায় মীরের বসতভিটায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন।

মূখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুজিব-উল-ফেরদৌসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, কুমারখালি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান খান, কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন।

আলোচনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, কুমারখালি প্রেসক্লাবের আহবায়ক সোহেল হাবিব। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমারখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেলা আক্তার, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চাঁপড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস।

উপস্থাপনা করেন কুষ্টিয়া আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আলতাফ হোসেন, কবি শুকদেব সাহা ও লুৎফর রহমান।

জন্মোৎসব উপলক্ষে মীর মশাররফ হোসেনের বসতভিটায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালা।

উন্মুক্ত চত্ত্বরে বসেছে গ্রামীন মেলা। মেলায় হরেক রকমের প্রায় অর্ধশতাধিক ষ্টলের পাশাপাশি শিশুদের আকৃষ্ট করতে এসেছে নাগর দোলা। দ্বিতীয় পর্বে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। শেষে স্থানীয় নাট্যকর্মীরা মীরের নাটক “অদ্ভদ ডাকাতি” মঞ্চায়িত করে। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে কর্মসূচী শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। তবে মেলা চলবে দিনব্যাপি।


(কেকে/এসসি/নভেম্বর১৪,২০১৪)