বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আসন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত 'চেয়ারম্যান' পদে এই প্রথম নির্বাচন করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ শাহ আলম।

এসএসসি '৯৭ ব্যাচের মেধাবী ছাত্র, নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়া গ্রামের সন্তান এই সাবেক ছাত্রনেতা শাহ আলম প্রার্থীতা ঘোষণা করে বলেছেন, 'আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি 'চেয়ারম্যান' পদে লড়াই করে বিজয়ী হতে পারলে, অত্র উপজেলার সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়ে নবীনগর উপজেলাকে একটি ডিজিটাল স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবেন।

শাহ আলম সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় ডাক বাংলো প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে এক দীর্ঘ মতবিনিময়কালে 'চেয়ারম্যান' পদে নিজের প্রার্থীতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে এসব কথা বলেন।
এসময় বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত স্থানীয় প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউন্সিল, উপ কমিটি (দপ্তর, ২০১৬), জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক উপ কমিটি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৭ম জাতীয় কংগ্রেস খাদ্য উপ কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক এই ছাত্রনেতা শাহ আলম সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে দৃঢ়তার সাথে বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, স্থানীয় সরকারের এবারের নির্বাচনে কোন দলীয় প্রতীক থাকবেনা। তাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে নবীনগরে উপজেলা 'চেয়ারম্যান' পদে কোন ধরণের প্রতিহিংসা করে নয়, সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে নিজের যোগ্যতা দিয়েই সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হতে চাই।

তিনি আরও বলেন, 'যদি নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে সবসময় সাধারণ মানুষের পক্ষে থেকে সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত এই নবীনগর উপজেলার সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটিয়ে অবহেলিত নবীনগরকে নতুন একটি সুন্দর ঝকঝকে সড়কে তুলে আনতে চাই ‘

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ছাত্রনেতা শাহ আলম বলেন, 'একজন জনপ্রতিনিধির সবার আগে সততা, সাহস ও দেশপ্রেম থাকা দরকার, যা আমার শতভাগ আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ আমার সুদীর্ঘ ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে নিজেকে কখনও অনৈতিক ও অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত করিনি। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও আমার এই সততা, সাহস ও দেশপ্রেমের এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই ‘

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তরুণ এই সাবেক ছাত্রনেতা বলেন, 'গত পাঁচ বছরে নবীনগরে যারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন, তারা এখানকার সাধারণ মানুষের প্রত্যাশিত আশা আকাংখা কোনভাবেই পূরণ করতে পারেননি। মূলত গত পাঁচ বছর নবীনগরের উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন হয়েছে গুটি কয়েকজন স্বার্থবাদী মানুষের, যা ছিলো খুবই দুঃখজনক ‘

তিনি আরও বলেন, তবে এখন যিনি এমপি হিসেবে নবীনগরে নির্বাচিত হয়েছেন, সেই জননেতা ফয়জুর রহমান বাদলের আগামি পাঁচ বছরের আমলে ইনশাল্লাহ নবীনগরের সার্বিক চেহারা ইনশাল্লাহ পাল্টে যাবে। ফলে এখানকার সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা এবার পূরণ হবেই হবে। আর আমি সেই জননেতা বাদল ভাইয়ের বিশ্বস্থ 'সারথি' হয়ে নবীনগরের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার লক্ষেই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে মাঠে নেমেছি। সেজন্য গণমাধ্যম কর্মীদের আমি সর্বত সহযোগিতা চাই।

দীর্ঘ এই মতবিনিময়কালে নবীনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মাহাবুব আলম লিটন, নবীনগর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, নবীনগর থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমকে জসীম উদ্দিন, স্থানীয় অনলাইন ষ্টার টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহীন রেজা টিটু, টিভি ওয়ানের (অনলাইন) সম্পাদক এস এ রুবেল, দ্বিধাবিভক্ত দুই মডেল প্রেসক্লাবের একটির সভাপতি খলিলুর রহমান ও অপরটির সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলামসহ ইলেকট্রনিস্ক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

(জিডি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪)